—প্রতীকী চিত্র।
বিশ শতকের প্রথমার্ধের টালমাটাল বাংলা বইটির আধার। থ্রিলারধর্মী লিখনশৈলীতে লেখক তুলে এনেছেন সেই সময়ের অচেনা অজানা বিপ্লবীদের নির্ভয় আত্মবলিদানের রুদ্ধশ্বাস কাহিনি। বইটিতে সঙ্কলিত রাজ্য পুলিশের মহাফেজখানা থেকে প্রাপ্ত বহু দুষ্প্রাপ্য ও প্রামাণ্য নথিপত্র। ভূমিকায় ব্রাত্য বসুর মন্তব্য, “ইতিহাসকথন নিছক তথ্য বা তথ্যাংশের পঞ্জিতে আটকে থাকে না, তা পাঠকের কাছে এক আখ্যানধর্মের আদল পেয়ে ক্রমশ জীবন্ত আর আজকের দিনের গল্প হয়ে ওঠে।” বাংলার অগ্নিযুগের ইতিহাসচর্চায় এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে অদেখা লালবাজার: অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের রোমহর্ষক বীরগাথা
সুপ্রতিম সরকার
৫০০.০০
আনন্দ
লেখকের দেশ-বিদেশ ঘোরার অভিজ্ঞতা, কলমে ও আলোকচিত্রে। আফ্রিকার জঙ্গল ঘুরে এসে টাটকা স্মৃতি থেকে লিখেছেন অনুপুঙ্খ বিবরণে ঠাসা বৃহদায়তন। কেনিয়া, তানজ়ানিয়ার মানচিত্র, ভূপ্রকৃতি, জনজাতির জীবন, ‘দ্য গ্রেট মাইগ্রেশন’ সম্পর্কে বিশদে জানিয়েছেন। সাবলীল গদ্য, তবে তথ্যসম্ভারের গুরুত্ব খানিক লঘু হয়ে যায় সম্পাদনা ও শব্দচয়নের দৌর্বল্যে। প্রায় ৩৩৫টি ছবি আছে, কয়েকটি বেশ ভাল। প্রমোদভ্রমণে আগ্রহীদের বইটি কাজে দেবে।
ঘুরে এলাম আফ্রিকা
মুরারী শংকর বিশ্বাস
১৯৯৯.০০
উদার আকাশ
প্রতি বার বইমেলায় নতুন করে বেরোয় সাহিত্যের ইয়ারবুক, বাংলা ভাষার লেখক প্রকাশক পত্রপত্রিকার নাম ঠিকানা যোগাযোগের নম্বর-সম্বলিত কাজের বই। সঙ্গে গ্রন্থ-সংস্থা ও বিপণি, ওয়েবসাইট, আলাদা করে বাংলাদেশের লেখক প্রকাশনা বই-বিপণি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য; কলকাতা ও শহরতলির পিন কোড, বছরের প্রতিটি মাস ধরে ধরে বিশ্রুত সাহিত্যিকদের জন্ম ও প্রয়াণদিন-সহ উদ্যাপনীয় দিনগুলির খবর। ভূমিকায় পবিত্র সরকার বলেছেন জরুরি কথা: “পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড কি এই বর্ষপঞ্জিটিকে, অন্তত তার বৈদ্যুতিন সংস্করণকে পোষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন?”
সাহিত্যের ইয়ারবুক: ঠিকানাপঞ্জি ২০২৪সম্পা: বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য
৪০০.০০
পূর্বা
১৯৬৫ সালে কারু ও হস্তশিল্পীদের সম্মাননার উদ্যোগ করে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম বছর দেশের ১৪ জন কারুশিল্পী জাতীয় পুরস্কার পান, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কালীঘাটের পটুয়া রজনীকান্ত চিত্রকর। ১৯৬৬-তে পুরস্কৃত হন বর্ধমানের নতুনগ্রামের কাঠখোদাই শিল্পী শম্ভুনাথ সূত্রধর, বাংলা থেকে আরও তিন জন। ২০১৯ পর্যন্ত ভারতের মোট ১১৫৫ জন কারু ও হস্তশিল্পী জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত, এঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কারুশিল্পী ১০৩ জন। কিন্তু বাংলা তথা ভারতের গৌরবগাথা রচনা করলেন যাঁরা, আজও তাঁদের অধিকাংশই রয়ে গেছেন অপরিচিত। বইটি অন্তরাল থেকে আলোয় এনেছে বাংলার ৫২ জন কারুশিল্পীর জীবনকথা, ১৯৬৫-১৯৯৪ পর্যন্ত ত্রিশ বছরে যাঁরা জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
কারুশিল্প: বাংলার গৌরবগাথা
বাসুদেব ঘোষ
৫০০.০০
লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র
তাঁর উপস্থিতবুদ্ধি দুর্দান্ত। পরিস্থিতি আন্দাজ করেন পলকে, শব্দ নিয়ে খেলা জোড়েন অনায়াসে। ‘প্রতিপক্ষ’— মঠের প্রধান, সামুরাই লর্ড বা ধূর্ত শেয়াল— তাঁকে পরাস্ত করতে এসে নিজেই ঢিট। চতুর্দশ শতাব্দীর অন্তিমে জন্ম জ়েন বৌদ্ধধর্মের রিনজ়াই শাখার সন্ন্যাসী ইকুয়ু সোজুন-এর। প্রকৃত গুরুর খোঁজে জীবন কেটেছে এ-মঠ থেকে ও-মঠে, মঠের বাইরেও; জীবন এড়িয়ে নয়, তার মধ্যেই পেয়েছেন অধ্যাত্মসত্য। ইংরেজি অনুবাদে, ছোট ছোট গল্পে সেই কিংবদন্তি-কথা। উপভোগ্য, শিক্ষাপ্রদও বটে।
স্টোরিজ় অব ইকুয়ু
নিসিম বেডেকর১
৩০.০০
স্পাউট