আশায় বাঁচে চাষা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও একুশ শতকের রাজনৈতিক অর্থনীতি
অনিন্দ্য ভট্টাচার্য
২০০.০০
তথ্যপ্রযুক্তির নতুনতম বিপ্লবটির নাম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এখন অবধি যে কাজের জন্য মানুষ অপরিহার্য— বাজারের অনুমান, দশ বছর পরে তার একটা বড় অংশ করতে পারবে যন্ত্রই। ফল, আরও বেশি কর্মহীনতা। অর্থাৎ, আরও বেশি বৈষম্য। বস্তুত, যে কাজ এখনও মানুষ করে, তাতেও এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী ভাবে শোষণের রাস্তা তৈরি করে, তার উদাহরণ অনিন্দ্য ভট্টাচার্য দিয়েছেন। অ্যাপ ক্যাবের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন ভাবেই যাত্রী বাছে, ভাড়া স্থির করে, যাতে একটা ভদ্রস্থ উপার্জন নিশ্চিত করতে গাড়িচালকদের প্রতি দিন অন্তত ১৬ ঘণ্টা খাটতে হয়। অথচ, অনেক কম সময়েই এই আয়ের ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু করা হয় না বাজারের কথা মাথায় রেখে। লাভের হাড়িকাঠে শ্রমিককে বলি দেওয়ার সেই সনাতন ধর্ম এখনও চলছে।
তবে, পুঁজিবাদের মারণাস্ত্রও কি লুকিয়ে আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভিতরেই? যন্ত্র মানুষের কাজ করে দিতে পারে, কিন্তু যন্ত্র ব্যয় করতে পারে না। শ্রমিকের মাইনের টাকা বাজারে ফিরে যায় বিভিন্ন চাহিদা হয়ে। সেই চাহিদার জোরেই পুঁজিবাদ সচল থাকে। যন্ত্র মানুষের কাজ কেড়ে নিলে মুষ্টিমেয় লোকের হাতে প্রচুর সম্পদ সৃষ্টি হবে, কিন্তু সেই টাকায় বাজারের চাহিদা ততখানি থাকবে কি? এই ধাঁধার উত্তর এখনও নেই।