আমার দেখা নয়াচীন
শেখ মুজিবুর রহমান
৪০০.০০ (বাংলাদেশি টাকা)
১৯৫২ সালে বেজিংয়ে এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তান শান্তি কমিটির সদস্য হিসাবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ আসে বঙ্গবন্ধুর কাছেও। দশ দিনের সেই সফরে তিনি চিনের সৌন্দর্য চিনেছিলেন, দেখেছিলেন বিপ্লবোত্তর দেশ গড়ার ব্রত। তিনি লিখছেন, “...মওলানা ভাসানী সাহেবও বলতেন, ‘যদি সুযোগ পাও একবার চীন দেশে যেও।’ অল্পদিনের মধ্যে তারা কত উন্নতি করেছে।” দূরদ্রষ্টা তরুণ রাজনীতিক তথা ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনেতার মনটি ধরা আছে ১৯৫৪ সালে জেলে বসে লেখা এই খাতায়।
ইতি— ননামি: স্ত্রীকে লেখা চিঠি
নরেন্দ্রনাথ মিত্র
সঙ্কলন ও সম্পা: অভিজিৎ মিত্র
৩৫০.০০খসড়া খাতা
“জানতাম না বাবা মায়ের কাছেও চিঠি লিখতেন, সঙ্গে কবিতা। জানতাম না মা-ও সেই সব চিঠি সংগোপনে তুলে রাখতেন একটি ঝাঁপিতে।” স্ত্রীকে লেখা নরেন্দ্রনাথের মিত্রের সেই সব চিঠি এ বার দু’মলাটে, লেখক-পুত্রের সম্পাদনায়। এক ব্যক্তিগত বিশ্বের উন্মোচন: ছবি মিত্রা চিত্রা চিঠি ইতি কল্পনা মালবিকা ‘My sweetest’ বা ‘বি, আমার বনানী’ সম্বোধনে স্নিগ্ধ, শেষে ‘ইতি তোমার কবি, ‘তোমার ননামি’, ‘তোমার শুনছ নাকি’। মধ্যিখানে অন্তর-কথন, মধুর, মেদুর।
ফসলের রাজনীতি: বাংলার চাষির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
স্বাতী ভট্টাচার্য, অশোক সরকার
৩৫০.০০, অনুষ্টুপ
গত দুই দশকে পশ্চিমবঙ্গের চাষ ও চাষির হাল-হকিকত অনুসন্ধান করেছেন স্বাতী ভট্টাচার্য ও অশোক সরকার। দেখাচ্ছেন, চাষির সরকারি সহায়তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বেশি, কিন্তু চাষি বিপন্ন হচ্ছেন প্রধানত উৎপাদন-বিপণনের ব্যবস্থার মস্ত সব গলদে। কৃষক, কৃষি আধিকারিক, বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সবার দৃষ্টিতে বাংলার চাষের বিবরণ রয়েছে ফসলের রাজনীতি বইতে। লেখাগুলির শিরোনাম চমকপ্রদ— যেমন, ‘রাজ্য ও পাট’, ‘কত বীজে কত ধান’।
চর্চায় ওইদিপৌস: ফ্রয়েড বনাম ফুকো
প্রদীপ বসু
৪০০.০০, আনন্দ
অয়দিপউস বললে সিগমুন্ড ফ্রয়েডের কথা মনে আসবেই। তাঁর তত্ত্ব অনুসারেই দীর্ঘ দিন অয়দিপউস-মিথটিকে দেখা হত নিষিদ্ধ কামনা ও মানব অবচেতনে তার প্রতিক্রিয়ার আখ্যান হিসাবে, যা প্রতিফলিত করে সভ্যতার অন্তর্নিহিত সঙ্কটকে। মিশেল ফুকো দেখালেন, মানব সভ্যতার অয়দিপউস কমপ্লেক্সের পিছনে আছে জ্ঞান ও রাজনৈতিক ক্ষমতারই শ্বাসরোধী ঠাসবুনট। ফ্রয়েড থেকে ফুকোর এই তাত্ত্বিক যাত্রাপথের পর্যালোচনা করে বইটি।
অর্থহারা একমুষ্টি বালি
জয় গোস্বামী
৩৫০.০০, আনন্দ
“কবিতা লেখার সময়... অর্থের হাত থেকেও একটা মুক্তি আমি পেতে চাই,” বলেছিলেন জয় গোস্বামী। এই বইয়ে তারই উদ্যাপন। ‘যাব তো অর্থের বাইরে, তোমার বাগানে পাব গতি/ পাঠকরাও জানেন প্রত্যেকে/ মুঠোয় যে ভস্মরাশি পাই/ ওইটুকুই মানে...’, ‘কবিতব্যাপার’ কবিতায় তা ঘোষণাও করেছেন। এই গ্রন্থের কবিতার একমাত্র উদ্দেশ্য, কবির মতে, সৌন্দর্য গঠন। হারিয়ে ফেলা জীবনের মানের উদ্দেশে একমুষ্টি বালি নিক্ষেপ। কবিতার অর্ঘ্যে তা-ই হয়ে ওঠে ষোড়শ উপচার। কবিকে যেমনটা বলেছিলেন বৃদ্ধ পুরোহিত— প্রয়াত প্রিয়জনের উদ্দেশে যদি পূর্ণ শ্রদ্ধায় একমুষ্টি বালি নিক্ষেপ করা যায়, তাতেই তাঁরা তৃপ্ত।
প্রশ্নের লোককথা
কুমার রাণা
২৩০.০০, আর বি এন্টারপ্রাইজ়
শাসক সবচেয়ে ভয় পায় প্রশ্নকে। একের পর এক প্রশ্ন দেখিয়ে দিতে পারে, রাজা আসলে উলঙ্গ। সেই প্রশ্ন করে চলার কাজটাই নাগরিকের। শুধু কতিপয় ‘শিক্ষিত’ উচ্চকোটির নাগরিকের নয়, সবার। সাম্প্রতিক কালের বেশ কিছু প্রবন্ধে এই কাজটি করেছেন কুমার রাণা। দেশ যখন ক্রমেই প্রশ্নহীন আনুগত্যের রাজনীতির পথে হাঁটছে, তখন প্রশ্ন করার অনুশীলন গুরুত্বপূর্ণ।
তরুণ রবি: এক প্রতিভার নির্মাণ
সুধীর কাকর
২৯৯.০০, থীমা, দে’জ পাবলিশিং
আধুনিক মনঃসমীক্ষক যখন রবীন্দ্রনাথের বাল্য-কৈশোর-তরুণ জীবনের বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাঁর পরিণতকালের অন্তর্জীবনের সন্ধান করেন? সুধীর কাকরের সেই ইরেজি গবেষণামূলক কাজটির অনুবাদ সহজ হওয়ার কথা নয়। বিশেষত রবীন্দ্রনাথের ইংরেজি অনুবাদের উপর ভিত্তি করে এমন বিশ্লেষণের সমস্যার যথাসাধ্য মীমাংসা যখন অনুবাদের একটি লক্ষ্য। শমীক বন্দ্যোপাধ্যায় সযত্নে সেই কাজ করেছেন।
ঘুম
কৃষ্ণেন্দু চাকী
২৮৫.০০, রাবণ
এই লেখাটিকে কোন গোত্রে ফেলা যাবে, দ্বিমত থাকতে পারে। রূপকথার আভাস রয়েছে, অথচ কোনও মতেই এই লেখার অন্তর্নিহিত অস্বস্তিকে রূপকথার খাপে আঁটানো যায় না। খুন আছে, অপরিচয়ের অন্তরাল আছে, আবার পরিচিতির আলোছায়াও রয়েছে— তবু, থ্রিলারের ছকে ফেলা যাবে না। কাব্যময়, কিন্তু গদ্যকবিতাও তো নয়। সিনেমাগন্ধী বয়ান হিসেবে ভাবলে বরং কাছাকাছি আসা যায় এই ছকভাঙা বাচনভঙ্গির।
বাঙালির খাপছাড়া ইতিহাস
সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়
৬০.০০, গুরুচণ্ডা৯
চটি বইটিতে চারটি প্রবন্ধ রয়েছে— একটি সুভাষচন্দ্র, গান্ধী ও কংগ্রেসের ত্রিপুরী সম্মেলন বিষয়ে; একটি বাংলা সিনেমার অধোগতি বিষয়ে; একটা ১৯৫৩-১৯৫৬ অবধি বাংলার রাজনৈতিক বিপন্নতা বিষয়ে; আর শেষটি বাংলা সিরিয়ালের গুণমান আর টিআরপি বিষয়ে। নেতাজি থেকে সিরিয়াল, বইটিকে বাঙালি ভুবনের হদ্দমুদ্দ বললেও ভুল হত না। বইয়ের পৃষ্ঠাসংখ্যা কম রাখতে গিয়ে হরফের আকার খুব ছোট হয়ে গিয়েছে।
বাঙালি মুসলমান লোকাচার ও সমাজ
একরাম আলি, ৩০০.০০
“এই বাংলার হিন্দু মুসনমান দুই ঘরেই এখনও কথায় কথায় ধর্মমাখা আচার অনুষ্ঠানের ছড়াছড়ি।” ভূমিকায় লিখেছেন সৌরীন ভট্টাচার্য। কিন্তু আদ্যন্ত অপরিচয়ে বাঙালি জীবনে কতখানি জানি আমরা বাঙালি মুসলমান প্রতিবেশীর লোকাচার— জীবনধারায় যা মিশে থাকে অঙ্গাঙ্গি? নিবিড় গবেষণা আর আন্তরিক পর্যবেক্ষণে লেখা এই বই বিভিন্ন সময়কার বিভিন্ন লেখার সমাহার হলেও একটি স্পষ্ট সূত্র আছে আগাগোড়া— ‘কিছু লোকাচার কিছু ধর্ম’, এবং কিছু সামাজিক মন্তব্য। কবির চোখে ধরা সেই দৃষ্টির ব্যঞ্জনা গভীর।
বাঙালির মদ্যপান: উনিশ শতকের বিতর্ক
রক্তিম সুর
৪০০.০০, আশাদীপ
এক দিকে আগ্রহ, অন্য দিকে অস্বস্তি। মদ্যপান নিয়ে বাঙালি এই দুইয়েরই ‘শিকার’, সেই উনিশ শতক থেকেই। বাঙালির পানাসক্তির ঐতিহাসিক সন্ধান করেছেন লেখক: ঔপনিবেশিক নীতিবোধ আর মদ্যপানের ব্যাপকতা, মদ ব্যবসার গতিপ্রকৃতির বাস্তবকে পাশাপাশি রেখে। আবগারি চিরকালই সরকারি আয়ের প্রধান উৎস, ইংরেজ সরকার তা পুরোদস্তুর কাজে লাগিয়েও বহিরঙ্গে দেখাত মেকি নৈতিকতা—আলোচিত তা-ও। বাঙালির ‘পান-দোষ’-এর উনিশ শতকীয় দ্বন্দ্বটি উপস্থাপিত তত্ত্বে ও তথ্যে।
অসুখী সময়ের বৃত্তান্ত: শাসকের অসূয়ার বিরুদ্ধে লিখিত প্রবন্ধ
অর্ক দেব
২৭৫.০০, তবুও প্রয়াস
এই বইয়ে সঙ্কলিত হয়েছে সাম্প্রতিক কালে লেখা দশটি নিবন্ধ এবং একটি আলোচনা। কী ভাবে বেছেছেন লেখাগুলি, সেই প্রসঙ্গে লেখক বলেছেন, প্রতিটি লেখাই কোনও না কোনও ভাবে ছুঁয়ে আছে এই সময়ের, এই দেশের ‘অপর’-কে, শাসকের অসূয়াকে। লেখাগুলি মূলত প্রতিরোধের, শাসকের অন্যায্যতার দিকে আঙুল তোলার। সেই সূত্রেই এসেছে ঋত্বিকের তিতাস একটি নদীর নাম, সত্যজিতের গুগাবাবা।
প্রচুর হিন্দু উৎসব থেকে প্রমাণ হয় যে, ‘ভারতে বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান’। লেখক বেছে নিয়েছেন অনেকগুলি ভারতীয় উৎসবের কাহিনি: বুদ্ধপূর্ণিমা থেকে গণেশ চতুর্থী, জন্মাষ্টমী, রথযাত্রা, মহালয়া কিংবা ছটপুজো, শীতলা, শবরীমালা ইত্যাদি নানা পার্বণ জায়গা পেয়েছে এখানে। ভারতীয় হিন্দুধর্মে মানুষের সমস্ত রকমের প্রয়োজনের প্রতি সহিষ্ণুতার সংস্কৃতি মিশেছে। তাই আচারের মধ্যে কেবল ধর্ম থাকেনি, থেকেছে অর্থনৈতিক সংস্কৃতি কিংবা পরিবেশ ভাবনার উপলব্ধিও। ছটপুজোয় যে উপকরণ কাজে লাগানো হয়ে থাকে, সেগুলো যে গোড়া থেকেই বায়োডিগ্রেডেবল, এ কি কম কথা?
তেরো পার্বণের ইতিকথা
জহর সরকার
২৫০.০০, দে’জ পাবলিশিং
রুশতী সেন সম্পাদিত এই বইয়ে যাঁরা বলেছেন তাঁদের নিজস্ব কথা, তাঁদের সেই নিজস্ব কথকতা কিন্তু কেবল নিজের কথা নয়, আর পাঁচ জনের কথা। বারো জন নারীর প্রত্যেকের স্মৃতিকথনই আদতে এক দিকে যেমন একটা সময়কালের বিশ্বাস-অবিশ্বাস আস্থা-অনাস্থা গ্রহণ-প্রত্যাখ্যান অঙ্গীকার-বিভ্রান্তি প্রাপ্তি-বঞ্চনার নথি, অন্য দিকে অনেক সঙ্গের ভিতরেও যেন এক নিঃসঙ্গতার অভিযান। সম্পাদকের মতে, এঁরা “স্বক্ষেত্রে যথেষ্ট ব্যুৎপন্ন এবং অভিজ্ঞ, অথচ যাঁদের নিয়ে তেমন মাতামাতি নেই, সংবাদপত্রে যাঁদের খোঁজখবর তেমন মেলে না।” তাঁদেরই ঘরে-বাইরের জীবনের যাপনচিত্র বইটি।
মেয়েদের কথা মায়েদের কথা
সম্পা: রুশতী সেন
৪৫০.০০, অক্ষর
বঙ্গীয় নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা গুরুচরণ মহলানবিশ। বিদ্যাসাগরের আন্দোলনকে সার্থকতা দিতে নিজে বিধবা বিবাহ করেছিলেন, সে কালের শ্রেষ্ঠ চিন্তকদের সঙ্গে ছিল ঘনিষ্ঠতা। তিরাশি বছর বয়সে রচিত তাঁর আত্মকথাটি পৌত্রবধূ নির্মলকুমারী মহলানবিশ প্রকাশ করেন ১৯৭৪-এ, সেই ভূমিকাটি-সহ মূল আত্মকথা, পরিশিষ্টে মহলানবিশ পরিবারের তথ্য, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান-পরিচিতি, ঘটনাসূত্র, গুরুচরণের চিঠি: সময়ের দর্পণ।
আত্মকথা
গুরুচরণ মহলানবিশ
সম্পা: গৌতম নিয়োগী
৩০০.০০, পত্রলেখা
ভোটের রাজনীতিতে শাসক পাল্টায়, এক রয়ে যায় শোষণ— নকশালবাড়ি আন্দোলনের নির্যাস এটাই। আন্দোলনের পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর অর্জুন গোস্বামী যে প্রবন্ধ-সঙ্কলন প্রকাশ করলেন, তাতেও সেই মূল ধারণাকেই ছুঁতে চাওয়া হয়েছে। দীপককুমার ঘোষ, দিলীপ চক্রবর্তী, অভিজিৎ মজুমদার, তপোধীর ভট্টাচার্য প্রমুখের কলমে উঠে এসেছে নকশালবাড়ির পুনর্মূল্যায়ন, আন্দোলনের নানা দিক, বর্তমান সময়ে তার প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি।
ফিরে দেখা নকশালবাড়ি আন্দোলন
সঙ্কলন ও সম্পা: অর্জুন গোস্বামী
৩০০.০০, অরুণা প্রকাশন
গ্রন্থজগৎ প্রকাশনী উঠে যাওয়ার পরে প্রকাশক দেবকুমার বসুর কাছে রয়ে গিয়েছিল বিনয় মজুমদারের ঈশ্বরীর কাব্যগ্রন্থের দু’টি কপি। তার একটি কিছু গ্রন্থকীট ও স্বয়ং কবির হাতেই শতচ্ছিন্ন— হস্তাক্ষরে অজস্র কাটাকুটি, কবিতার পঙ্ক্তি বদল, বহু অশ্লীল শব্দের আনয়ন! সেই পাণ্ডুলিপিই প্রকাশিত হল দেবকুমার-পুত্র প্রবালকুমার বসুর হাতে, যাঁর মতে ‘শব্দগুলোর পরিবর্তনে বিনয়ের মানসিক অস্থিরতা অনেকটাই প্রকট’। বিনয়ের মেধার পরিসর যেন ব্যক্তিজীবনের চর্চার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি। কবিতায় দীক্ষিত পাঠকের কাছে এই গ্রন্থটি নথিস্বরূপ।
ঈশ্বরীর
বিনয় মজুমদার
সম্পা: মোস্তাক আহমেদ
৩০০.০০, যাপনচিত্র
শঙ্খ ঘোষের কবিতা ও প্রবন্ধ নিয়ে অনেক আলোচনা, কিন্তু তাঁর মূল্যবান সম্পাদক ভূমিকা তুলনায় অনালোচিত।যখন তিনি কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হননি, তখনই তাঁর মধ্যে এক ধীমান সম্পাদককে খুঁজে পেয়েছিলেন সুনীতি চট্টোপাধ্যায় ও সুশীলকুমার দে। ভারতকোষ থেকে সতীনাথ গ্রন্থাবলী, রবীন্দ্র রচনাবলী- কয়েকটি খণ্ডের মূল্যবান সম্পাদনার কাহিনিসূত্রে উঠে এসেছে অনেক বিতর্কের কথাও।
কবি যখন সম্পাদক
অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য
২০০.০০, পূর্বা
হাতেই শতচ্ছিন্ন— হস্তাক্ষরে অজস্র কাটাকুটি, কবিতার পঙ্ক্তি বদল, বহু অশ্লীল শব্দের আনয়ন! সেই পাণ্ডুলিপিই প্রকাশিত হল দেবকুমার-পুত্র প্রবালকুমার বসুর হাতে, যাঁর মতে ‘শব্দগুলোর পরিবর্তনে বিনয়ের মানসিক অস্থিরতা অনেকটাই প্রকট’। বিনয়ের মেধার পরিসর যেন ব্যক্তিজীবনের চর্চার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি। কবিতায় দীক্ষিত পাঠকের কাছে এই গ্রন্থটি নথিস্বরূপ।