প্রতীকী ছবি।
বারোমাস/ নির্বাচিত সংকলন ২
সম্পা: পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রুশতী সেন
৬৫০.০০
দে’জ পাবলিশিং
১৯৭৮ থেকে ২০১৫ অবধি কয়েক দশক ধরে বারোমাস নামক যে সাময়িকপত্রটি বাঙালির চিন্তাজগতে তুমুল আলোড়ন তুলেছিল, ২০১৯-এ সেটির নির্বাচিত সঙ্কলন (প্রথম খণ্ড) বেরোনোর পর সম্প্রতি বেরোল দ্বিতীয় খণ্ডটি। সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রোড়পত্র সম্বলিত। এই খণ্ডে আছে পত্রিকাটির প্রথম কুড়ি বছরে (১৯৭৮-১৯৯৮) প্রকাশিত বিশিষ্ট জনের রচিত তেতাল্লিশটি নির্বাচিত প্রবন্ধ— ভাষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিক্ষা, সঙ্গীত, চিত্রকলা, ভাস্কর্য, নাটক, শিকার ও খেলা বিষয়ক। ক্রোড়পত্র বিভাগে ‘পশ্চিমবঙ্গে বন্যা’ (১৯৭৮-এ প্রকাশিত)-র অন্তর্ভুক্তি রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসগত ভাবেই। বাকি বিষয়ের মধ্যে উল্লেখ্য: ‘ধনতন্ত্রের শক্তি ও মায়া’, ‘দেবব্রত বিশ্বাস’, ‘তৃপ্তি মিত্র’।
এক বছরের গল্প
লীলা মজুমদার
২০০.০০
বিচিত্রা
“আমার অনেক সময় মনে হয়েছে, যারা রবীন্দ্রনাথের হাতে পড়েছিল, তারা পরে টাকাকড়ি নামডাক না করলেও, আর সকলের চেয়ে আলাদা।” শান্তিনিকেতনে শিক্ষিকা হিসাবে তাঁর এক বছরের স্মৃতির ভাঁড়ার উন্মুক্ত করে বলেছিলেন লীলা মজুমদার। স্বল্পায়তন এই আখ্যানে পরিচয় পাওয়া যায় রবীন্দ্রনাথের হরেক রূপের— সে সবে পরিচয় অন্যদের লেখায় যদি আগে পাওয়াও থাকে, তবু লেখিকার কলমের জাদুতে এখানে তা জীবন্ত। লেখিকাকে এক দিন তাঁর দুপুরের খাবার তৈরির ভার দিয়েছিলেন কবি— শুধু লেখাপড়ায় ভাল হলেই সম্পূর্ণ মানুষ হওয়া যায় না বলে। নানান কাজের ফাঁকে টুকরো রসিকতা, কখনও আবার জীবনবোধের শিক্ষা। রয়েছে আশ্রমজীবনের কথা, অনেক অভাবের মধ্যেও বয়ে চলা নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারার স্বাদ।
ফেনশীর্ষ সাগরের ডুবুরি/ সাতটি স্থানীকৃত ও অনূদিত নাটকের সংকলন
ব্রাত্য বসু
৮০০.০০
প্রতিভা
পিটার শ্যাফার, জন ওয়েক্সলে এবং উৎপল দত্ত, মারিয়ুস ভন মায়েনবুর্গ, বের্টোল্ট ব্রেখট, সোভোমির মরোজ়েক, উলে সোয়িঙ্কা... বিশ্বখ্যাত নাটককারদের সাতটি নাটককে যে ভাবে অনুবাদ করেছেন ব্রাত্য বসু, দেশকালের সীমা ভেঙে তাঁর নান্দনিক উপস্থাপনায় সেগুলি হয়ে উঠেছে শিকড়সন্ধানী। কোথাও পরিবার-প্রথার নীতিনৈতিকতার বিরুদ্ধ-স্বর হিসাবে নগ্ন আত্মজৈবনিকতা, কোথাও বা বর্ণবৈষম্য, নাগরিক ঔদাসীন্য, রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাষ্য এমন এক নাট্যরীতিতে বুনে গিয়েছেন ব্রাত্য যে, পাঠকমাত্রেরই আত্ম-আবিষ্কার ঘটবে। নাটকাদি ও নাটককার সম্পর্কে লেখককৃত প্রতিটি ‘প্রস্তাবনা’ই ঋদ্ধ করবে পাঠকমনকে।
ক্ষণকালের খণ্ডকথা
দেবজ্যোতি দাশ
৫০০.০০
কৃতি
নাম তখনও কর্নওয়ালিস স্ট্রিট, বিধান সরণি হয়ে উঠতে আরও বছর তিরিশ দেরি। স্বাধীনতা-পূর্ব সেই সময় থেকে স্বাধীন ভারতের নানা বাঁক বদলের সাক্ষী যে কলকাতা শহর, সে-ই প্রধান চরিত্র এ বইয়ের, লেখকের ভাষায় “আমি এবং কলকাতা, এই দুই অবিচ্ছেদ্য বন্ধুর জীবন-পথ চলার কাহিনি।” ব্রিটিশ আমলের কলকাতায় যাপিত লেখকের শৈশব-কিশোর, স্বাধীন দেশে এ শহর কী করে পাল্টে নিল নিজেকে, উত্তরণ ঘটাল লেখকেরও, সেই বয়ান। তার বহিরঙ্গটি দেশ-কাল-সমাজ-ইতিহাসের নৈর্ব্যক্তিক অবলোকন, অন্তরে স্মৃতিগদ্যের ফল্গুধারা। পাঠকের তো বটেই, ভাল লাগবে কলকাতার ইতিহাস চর্চাকারীদেরও।
ইতিহাস ও সমসময়
জয়ন্ত সেনগুপ্ত
৪০০.০০
অনুষ্টুপ
সকলেই লেখক নন, কেউ কেউ লেখক: এই প্রবন্ধ সঙ্কলন মনে করিয়ে দেয়। ইতিহাস ও সংস্কৃতি ঘেরা নানা বিষয়ের নানা স্বাদের প্রবন্ধ পাঠকের ভাবনাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো। জাতীয়তাবাদ মানে যে শুধু রাজনীতি নয়, এমনকি স্যর আশুতোষের মতো মানুষের জ্ঞানচর্চা, গবেষণাও তার মধ্যে পড়ে, কিংবা বাঙালি যে বিপ্লব বা সংগ্রাম বলতে আসলে বোঝে এক ধরনের শিক্ষা ও দ্রোহের সমন্বয়, কিংবা দেশভাগের বাঙালি নস্ট্যালজিয়ার সঙ্গে যুক্তিবাদী বাঙালি কোথায় যোগ খুঁজে পান আজকের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের: হরেক চিন্তার উপাদানে ভরা এই বই সুপাঠ্য ও সমৃদ্ধ। সমসাময়িক রাজনীতি বিষয়ক প্রবন্ধও আছে কয়েকটি। আছে শীতকালের স্মৃতি নিয়ে স্বাদু গদ্য। আর আছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখবন্ধ।
সেকালের কথা
জলধর সেন
সম্পা: বারিদবরণ ঘোষ
২০০.০০
পূর্বা
সে কালের ভোজ, সে কালের বাল্যবিবাহ, বালিকা বিদ্যালয়, সে কালের পাঠশালা, সে কালের ছাত্রশাসন, বিজয়া উৎসব... এমন হরেক রকম বিষয় জলধর সেনের কলমে। টুকরো টুকরো স্মৃতির আখ্যান, যা এক প্রকার ইতিহাসেরও নির্মাণ। অবিভক্ত বাংলার অতীতের স্বাদ পাবেন পাঠক এই পুনর্মুদ্রিত বইটিতে। “এখানে আছে লোকজীবনের ইতিহাস এবং সাহিত্যের রসপ্লাবিতা।” জানিয়েছেন সম্পাদক বারিদবরণ ঘোষ। উজ্জ্বল উদ্ধার।
ক্যানসার যাপন
সোমা মুখোপাধ্যায়
৪৫০.০০
আনন্দ
রোগ নিয়ে এই বই, দেহের পাশে মনের ও জীবনের রোগ কাটিয়ে ওঠার কথা বলে। ক্যানসার অসুখটিকে জীবনযাপনের অংশ করে নেওয়া না গেলে তার সঙ্গে লড়াইটাই হয় অসম্ভব। সুতরাং, রোগীকে, এবং রোগীর স্বজনকে একেবারে অন্য ভাবে তাকাতে হবে অসুখটার দিকে। কাকে বলে কোয়ালিটি অব লাইফ, গোড়া থেকে ফিরে ভাবতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, অসুখটাকে জেনে নিতে হবে হাতের তেলোর মতো, যাতে অপরিচয় কোনও উদ্বেগে ভর দিয়ে অসুখকে বাড়িয়ে না তোলে। বহু অসুস্থ মানুষ ও তাঁদের পরিবারকে ভরসা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে জরুরি এই বই।
একটি আশ্চর্য প্রেমের গল্প
অলোকপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
৫০.০০
আজকাল
মস্ত এক প্রযোজক মৃণাল সেনকে ‘অফার’ করেছিলেন সাত লক্ষ টাকা, রাজেশ খন্নাকে নিয়ে ছবি করতে হবে। ঘরে অনটন, ও দিকে অর্থের হাতছানি, এই অবস্থায় এগিয়ে এসেছিলেন গীতা সেন, নিজের ভাবনার বাইরে গিয়ে মহাতারকাকে নিয়ে ছবি বানালে তিনি আর মৃণাল সেন থাকবেন না; যে স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকা সেটাও ম্লান হবে। দু’জনে দু’জনকে বুঝতে পারার এই সম্পর্ক— শিল্পের জন্য, সিনেমার জন্য জীবনের বহু ওঠাপড়া আর হার না-মানা নিয়ে গীতা ও মৃণাল সেনের আশ্চর্য প্রেমের গল্প, ছোট্ট এই বইটির বিষয়। ২০০৭ সালে এ লেখা লিখেছিলেন লেখক, দু’জনেই এ লেখা পড়ে গিয়েছেন। গীতা সেন খুশি হয়েছিলেন, মৃণাল সেনের ভাবটি ছিল ‘লাজুক-লাজুক’। বই হয়ে বেরোল এত দিনে, মৃণাল সেনের জন্মশতবর্ষের সূচনায় অন্য রকম শ্রদ্ধার্ঘ্য।
চার রঙের উপপাদ্য
ইন্দ্রাণী
১৭৫.০০
গুরুচণ্ডা৯
“সন্ধের মুখে জেম্মার ছোট রেডিও চালিয়ে রাখে পায়েল। রান্নাঘরে আটা মাখে, রুটি করে। ধনঞ্জয় বাজার নিয়ে ফিরলে টিভি চালায় তারপর।” প্রাত্যহিকতার এমন টুকরো, বলার-মতো-নয় বিবরণ যে একটা উপন্যাসকে পাঠকের আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে, ইন্দ্রাণী সেই গোড়ার কথাটি ধরে ফেলেছেন মোক্ষম। ছোটগল্পকার হিসাবে ইতিমধ্যেই পরিচিত, এই প্রথম উপন্যাস লিখলেন। কেবলমাত্র চারটি রং দিয়ে যে এঁকে ফেলা যায় অসম্পৃক্ত সমরঙের ভুবন, উপন্যাস জুড়ে কয়েকটি সাধারণ চরিত্রের সাধারণ জীবনযাপনের মাধ্যমে সে কথাটিই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নায়ারদার কথা: বিক্রমন নায়ারের সঙ্গে তিন দশক
মানস ভট্টাচার্য
২৫০.০০
আক্ষরিক
একশো বছরের ইতিহাসে আনন্দবাজার পত্রিকা-র বার্তা বিভাগে সম্ভবত একমাত্র ‘অবাঙালি’ কর্মী ছিলেন বিক্রমন নায়ার। অবশ্য জন্মপরিচয়েই তিনি মালয়ালি, রুচি-বোধ-যাপনে নিখাদ বাঙালি। বামপন্থী রাজনীতিতে বিশ্বাসী, শ্রমজীবী মানুষের প্রতি অগাধ সহানুভূতি ছিল তাঁর। বন্ধুদের ছিল তাঁর প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্য। “ওর ভালবাসার মানুষদের কিছু কমন বৈশিষ্ট্য আছে: উদার, মানবতাবাদী, অ্যান্টি-বিজেপি। শেষ বৈশিষ্ট্যটির উল্লেখ অবশ্য না করলেও চলত, কেননা প্রথম দুটির মানেই তো তাই।” নায়ারকে কেন্দ্র করে লেখক এঁকেছেন একটা সময়ের ছবি।
সত্যেন্দ্রনাথ বসু রচনা সংকলন
৬০০.০০
বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ, সত্যেন্দ্রনাথ বসু মৌল বিজ্ঞান কেন্দ্র
সত্তর দশকের শেষে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর বাংলা রচনাসঙ্কলন প্রকাশের উদ্যোগ করে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ। সত্যেন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে পরিষদ প্রকাশিত গ্রন্থটি পাঠক-আদৃত হয়েছিল, সেই সূত্রেই অনুভূত হয়েছিল সত্যেন্দ্রনাথের অন্যান্য রচনা, বক্তৃতা, চিঠিপত্র অন্তর্ভুক্তিরও। সদ্যপ্রকাশিত এই বই সেই চাহিদা পূর্ণ করেছে। ‘বিজ্ঞান চিন্তা’, ‘শিক্ষা চিন্তা’, ‘স্মৃতিচারণ’ ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’, ‘অনুবাদ’ শিরোনামে সত্যেন্দ্রনাথের মহামূল্যবান লেখাগুলি তো রয়েছেই, যুক্ত হয়েছে বিশ্বভারতী ও আইএসআই-এর সমাবর্তনে দেওয়া তাঁর ইংরেজি ভাষণ, সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজ়িক্স-এ প্রদত্ত তাঁর ‘মেঘনাদ সাহা স্মারক বক্তৃতা’, কয়েকটি গ্রন্থভূমিকা, পারিবারিক চিঠি। ‘বোস-আইনস্টাইন ঘনীভবন’-এক গুরুত্ব প্রসঙ্গে জয়ন্ত ভট্টাচার্যের প্রবন্ধটি বিশেষ প্রাপ্তি।
দৃশ্যের দর্শন: প্রদীপ দত্তের অকৃত্রিম
আলোকদৃশ্যমালা
৫৫০.০০
তথাগত
প্রদীপ দত্তকে নিয়ে শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন তাঁর বটপাকুড়ের ফেনা বইয়ে। চলার পথে গাছের গায়ে, ঘরের আসবাবে, রাস্তার দেওয়ালে কোনও একটা রূপ দেখতে পেয়ে ক্যামেরায় তা ধরে রাখেন প্রদীপ, উঠে আসে একটা আঁকা-ছবির আদল। ক্যামেরা দিয়ে আঁকা সেই সব ছবি, সেই সব অকৃত্রিম আলোকদৃশ্যমালার কয়েকটিই উঠে এসেছে এই ছবির বইয়ে: অন্ধকারের প্রেক্ষাপটে আলোভরা জানলার জ্যামিতি, সবুজ ঘাসে পড়ে থাকা টুকরো কাগজে মনুষ্য অবয়ব, গাছের ফোকরে মানুষের হাঁ-করা মুখ... আরও কত কী। ক্যামেরায় লুকিয়ে থাকা এই চিত্রভাষা সব শিল্পীর আয়ত্ত নয়।
বাংলার আদিবাসী
বাসুদেব ঘোষ
৫০০.০০
লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র
ভাষা, সংস্কৃতি, জীবনযাপন... সভ্যতার মূল ভিত্তিগুলির বিশেষ প্রকাশ ও প্রসার দেখা যায় ‘আদিবাসী’ সমাজে। এখনকার ভারতে সাতশোরও বেশি আদিবাসী জনগোষ্ঠী, বাংলায় রয়েছে চল্লিশটি জনগোষ্ঠী। বাংলার এই মানুষদের জীবনকথা ও সংস্কৃতিই ফুটে উঠেছে আলোচ্য বইটিতে। সুহৃদকুমার ভৌমিকের ভূমিকায় সমৃদ্ধ এ বইয়ে বাংলার জেলাভিত্তিক আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলির তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে, রয়েছে প্রতিটি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বমূলক গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোকচিত্রও। লোকসংস্কৃতি ও জনজাতি চর্চায় জরুরি কাজ।
কথাসেলাই ও অন্যান্য প্রবন্ধ
স্বপ্নময় চক্রবর্তী
৫৫০.০০
কারিগর
তাঁর লেখা ছোটগল্প ও প্রবন্ধের অন্তরাত্মা একই, প্রকাশভঙ্গি আলাদা— বইয়ের ভূমিকায় বলেন লেখক। প্রবন্ধের ধ্রুপদী নির্মাণকৌশল দিয়ে তাই এ বইয়ের লেখাগুলি না মাপাই ভাল। কয়েকটি স্মারক বক্তৃতার লিখিত বয়ান, অনুভবপ্রধান কিছু সাহিত্য-বিষয়ক রচনা, রম্যগদ্য— সব কিছু মিলিয়ে এ বই। ছড়া ও কবিতা, সাহিত্য-যন্ত্র-প্রযুক্তি, এখনকার সাহিত্য সমালোচনা নিয়ে লেখা, আবার বেতারের অন্দর-অন্তর, বাঙালি জীবনের নানা দিক, শ্রীরামকৃষ্ণ থেকে শিবরাম চক্রবর্তী— বিষয় হিসাবে হাজির সকলেই। পার্থ দাশগুপ্তের সুচারু অলঙ্করণে ঋদ্ধ বইটি।
তির্যক/ রেবতীভূষণ চিত্রিত
সঙ্কলন ও সম্পা: সোমনাথ রায়
৪৯৫.০০
সুস্মৃতি প্রকাশনী
উল্টোরথ পত্রিকায় কয়েক বছর ধরে প্রকাশিত হয়েছিল শিল্পী রেবতীভূষণের আঁকা বিখ্যাত সাহিত্যিকদের ক্যারিকেচার, মূলত সেই ছবিগুলিই দু’মলাটে ধরে রাখা হয়েছে অন্য রকম এই বইয়ে। রয়েছে সেই সময়ের অন্য পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সমধর্মী ছবিও। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজশেখর বসু, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বনফুল সজনীকান্ত দাস, সৈয়দ মুজতবা আলী, বুদ্ধদেব বসু, প্রেমেন্দ্র মিত্র, শিবরাম চক্রবর্তী থেকে গৌরকিশোর ঘোষ ও সাগরময় ঘোষ, শম্ভু মিত্র, মহাশ্বেতা দেবী— বাংলার কবি-সাহিত্যিক-সম্পাদকদের ‘মুখশ্রী’ উদ্ভাসিত ‘কার্টুন কিং’ রেবতীভূষণের কালিকলমে। সকলের জীবনকৃতিও সংক্ষেপে লিখেছেন সঙ্কলক, ছবির পাশে। প্রতিকৃতি ও ক্যারিকেচারের শিল্প বুঝিয়ে দেয়, এমন একটি সুলিখিত প্রবন্ধও রয়েছে শেষে।
চকমকি: মার্কিন পশ্চিমের অগ্নিগর্ভ দিনকালের স্মৃতি
তর্জমা ও সম্পা: নীলাঞ্জন হাজরা
৬৫০.০০
ধানসিড়ি
আমেরিকার ‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’-এর দখল নেওয়ার গল্প হলিউডের দর্শকমাত্রেরই জানা। মিসুরি নদীর পশ্চিম পারের অঞ্চল, মানে আমেরিকার মধ্য ও পশ্চিম ভাগ ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে ছিল অজস্র জনজাতি গোষ্ঠীর অবাধ বাসভূমি। তার পর এক দিন সেই জমি দখল করে নিল শ্বেতাঙ্গরা। তবে তা বিনা প্রতিরোধে নয়। ঘটল একের পর এক যুদ্ধ, গণহত্যা। সেই অগ্নিগর্ভ সময়ের স্মৃতি ধরা রয়েছে, এমন পাঁচটি লেখার ঝরঝরে তর্জমা করেছেন নীলাঞ্জন হাজরা। বইয়ের শেষে জুড়ে দিয়েছেন নেটিভ আমেরিকান খানাপিনার কথাও, রেসিপি সমেত— অন্য এক মাত্রা যোগ করে তা।