জয় সরকার। —ছবি: নিজস্ব চিত্র।
দশটা থিমের পুজোর মিউজিক করার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকার। এ বারের দুর্গাপুজো তাঁর কাছে বিশ্রামের।
‘‘আমার মনে হয় ওই আঠেরো থেকে কুড়ি, এই বয়সটা দুর্গাপুজোর যা খুশি তাই ইচ্ছেমতো উড়ে যাওয়ার বয়স। নতুন প্রেম। নতুন জামা। নতুন আড্ডা। প্যান্ডেলে প্রেম সব ওই বয়সটার জন্য। এ বছর শুধু খাব আর ঘুমোবো।’’ বললেন জয় সরকার। সদ্যই আকৃতি কক্কর আর শানকে নিয়ে পুজোর অ্যালবামের কাজ করেছেন তিনি। এই অ্যালবাম তাঁর পুজোর উপহার।
কিন্তু দুর্গাপুজোয় উপহারের কোনও ভাবনা থাকে কি?
আরও পড়ুন: আড্ডা আর প্রচুর খাওয়া, এটাই আমার পুজো, বলছেন ঋদ্ধিমা
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে বন্ধুদের সঙ্গে নিরালায় দেদার মজা করব: মিমি
‘‘নতুন জামা আলাদা করে এই সময় কেনা হয় না। এখন তো সারা বছরই কেনাকাটা চলে। আমি আসলে বাইরে শো থাকার জন্য টানা পনেরো-ষোলো বছর কলকাতায় পুজোতে থাকতাম না। তখন পুজোর কলকাতাকে ভীষণ মিস করতাম,’’ বলছেন জয় সরকার।
তবে এ বার এই খাওয়া-ঘুমের প্ল্যানিংয়ে রাধুবাবুর দোকানের পাউরুটি স্ট্যু যেমন মাস্ট তেমনই শ্রীজাতর বাড়ির আড্ডাও মাস্ট। ‘‘সপ্তমীর দিন সম্ভবত শ্রীকান্তদা আসবে আর আমিও শ্রীজাতর বাড়ি আড্ডা মারতে যাব। কারণ সারা পুজোতেই লোপা শোয়ের জন্য বাইরে থাকবে।’’ জানালেন জয়। মা-বাবার সঙ্গে কিছু সময় অবশ্য এই পুজোর দিনগুলোয় থাকা হবে। ‘‘আর মা যদি ভাল-মন্দ রান্না করে...’’, যোগ করলেন জয়।
এড়িয়ে গেলেন আসল বিষয়। পুজোয় প্রেম!
‘‘আমি সাদা চুলের অপেক্ষায়। মানে বলতে চাইছি পঞ্চাশ আসুক। এই প্রেম, পুজো, উদ্যম সব নতুন করে শুরু হবে আমার!’’ সহাস্যে বললেন জয়।
এ বার নয়, পরের পুজোয় জয়ের সেকেন্ড ইনিংসের অপেক্ষায় থাকুক জয়ের অজস্র বান্ধবী।