রাজ্যে এ বার সব অনলাইন লেনদেন একসূত্রে

সমস্ত অনলাইন আর্থিক লেনদেনকে এ বার একসূত্রে গাঁথতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই অনলাইন ব্যবস্থায় কর জমা, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন এবং টেন্ডার ডাকার নিয়ম চালু হয়েছে। আর মাস তিনেকের মধ্যেই ‘ইন্টিগ্রেটেড ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে ওই ব্যবস্থা চালু হবে বলে শনিবার জানান রাজের অর্থ এবং শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী অমিত মিত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৪ ০১:১০
Share:

অর্থমন্ত্রীর হাতে স্মারক তুলে দিচ্ছেন রূপেন রায়। উপস্থিত সঞ্জয় বুধিয়া (ডান দিকে)।—নিজস্ব চিত্র

সমস্ত অনলাইন আর্থিক লেনদেনকে এ বার একসূত্রে গাঁথতে চলেছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

ইতিমধ্যেই অনলাইন ব্যবস্থায় কর জমা, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন এবং টেন্ডার ডাকার নিয়ম চালু হয়েছে। আর মাস তিনেকের মধ্যেই ‘ইন্টিগ্রেটেড ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে ওই ব্যবস্থা চালু হবে বলে শনিবার জানান রাজের অর্থ এবং শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর দাবি, এ রাজ্যই প্রথম সফল ভাবে ব্যবস্থাটি চালু করতে চলেছে।

ব্যাঙ্কিং নিয়ে ইন্ডিয়ান চেম্বার আয়োজিত এক সভায় অমিতবাবু বলেন, “ওই ব্যবস্থায় কোষাগারে যত টাকা ঢুকছে-বেরোচ্ছে, পঞ্চায়েতগুলিকে কত টাকা দেওয়া হচ্ছে এবং তা খরচের হিসাব এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাবে।” রাজ্য কোষাগারের টাকা লেনদেনে আরও স্বচ্ছতা আনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন অমিতবাবু।

Advertisement

এ দিকে রাজ্য থেকে ব্যাঙ্কগুলি যত টাকার আমানত সংগ্রহ করছে এবং তার যতটা রাজ্যেই ঋণ হিসাবে বণ্টন করছে (ক্রেডিট ডিপজিট রেশিও), তার হার নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। এই হার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৭০ শতাংশে নিয়ে যেতে ব্যাঙ্ক-কর্তাদের আর্জি জানান অর্থমন্ত্রী।

পাশাপাশি, অমিতবাবু জানান, সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে যাতে ব্যাঙ্কের শাখা থাকে, চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই তা নিশ্চিত করতে রাজ্য ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে প্রত্যন্ত গ্রামে পুরদস্তুর শাখা অনেক সময়েই লাভজনক হয় না। সে ক্ষেত্রে ৩০০-৪০০ বর্গ ফুটের অফিস-ঘর নির্মাণ করে মাসে ১ টাকায় ব্যাঙ্ককে ভাড়া দেওয়া হবে। ১৫০টি অফিস-ঘর তৈরিও করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement