যত দোষ সুইৎজারল্যান্ডের।
নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে কালো টাকা নিয়ে সুইস ব্যাঙ্কের দিকেই আঙুল তুললেন চিদম্বরম। তাঁর অভিযোগ, সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্যই দিচ্ছে না সুইৎজারল্যান্ড।
বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে পাল্টা অস্ত্র শাণাতেই এই মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। তার কারণ মোদী প্রচারে কালো টাকাকে প্রধান অস্ত্র করতে চান। অভিযোগ, কং -গ্রেস কোনও দিনই কালো টাকা দেশে ফেরত আনবে না। কারণ কংগ্রেস জানে, ওই টাকার মালিক কারা। মোদীর হুমকি, তিনি ক্ষমতায় এলে কালো টাকার মালিকদের জেলে পুরবেন। আবার, কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, তাঁরা ফিরলে কালো টাকার বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দৌত্যের জন্য বিশেষ দূত নিয়োগ করবেন। অর্থমন্ত্রী জানান, দু’সপ্তাহ আগেই সুইস অর্থমন্ত্রী এভেলিন উইডমার সুম্পফ-কে এ বিষয়ে কড়া চিঠি লিখেছেন তিনি। সোমবার কূটনৈতিক শিষ্টাচারেরও পরোয়া না-করে চিদম্বরমের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে দেখা হলে অস্বস্তিতে পড়ছেন এভেলিন।
চিদম্বরম বলেন, “ভিন্ রাষ্ট্র থেকে কালো টাকার তথ্য পেতে আমি যে কারওর থেকে বেশি চেষ্টা করেছি। প্রণব মুখোপাধ্যায়ও যথাসাধ্য করেছিলেন।” তবে অর্থমন্ত্রী জানান, সুইৎজারল্যান্ড অজুহাত দেয়, এই তথ্য অন্য দেশকে দেওয়া যাবে না। তিনি অস্ট্রেলিয়ার জি-২০ সম্মেলনে এ নিয়ে সরব হলেও সেখানে এভেলিন আসেননি। চিদম্বর -মের বক্তব্য, কর সংক্রান্ত চুক্তি অনুযায়ীইও ভারতীয় অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সুইৎজারল্যান্ড তথ্য জানাতে বাধ্য। সে কথাই সুইস অর্থমন্ত্রীকে চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লিতে সুইস দূতাবাস জানিয়েছে, শীঘ্রই অর্থ -মন্ত্রীর চিঠির জবাব দেওয়া হবে। কেন সুইৎজারল্যান্ড তথ্য দিতে চাইছে না? অর্থ মন্ত্রক সূত্রের ব্যাখ্যা, জেনিভার এইচএসবিসি ব্যাঙ্কে ৫৬২টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য জানাতে সুইৎজারল্যান্ডকে অনুরোধ জানায় নয়াদিল্লি। ব্যাঙ্কের এক কর্মী লক্ষ লক্ষ তথ্য ফরাসি সরকারের থেকে বেআইনি পথে সংগ্রহ করেছিলেন বলে অভিযোগ। ফ্রান্স এরপর এ বিষয়ে ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাকে সতর্ক করে। এ বার সুইৎজারল্যান্ডের কাছ থেকেই তথ্য চাইছে নয়াদিল্লি। কিন্তু সুইৎজারল্যান্ডের যুক্তি, এই সব চুরি করা তথ্য। তা অন্য দেশকে দেওয়া যাবে না। চিদম্বরম বলেন, “আমেরিকা প্রভাব খাটাতে পারে বলে সুইৎজারল্যান্ড তাদের তথ্য দিয়েছে, অথচ ভারতকে দেয়নি।”