প্রতীকী ছবি।
আমদানি শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে চিনা মোবাইল সংস্থা শাওমি-কে ৬৫৩ কোটি টাকার করের নোটিস পাঠাল কেন্দ্র। সম্প্রতি বিভিন্ন চিনা মোবাইল সংস্থার দফতরে তল্লাশি চালিয়েছিল তারা। বুধবার অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, সেখান থেকে পাওয়া নথিতে দেখা যাচ্ছে চুক্তি অনুসারে রয়্যালটি এবং লাইসেন্স ফি বাবদ আমেরিকা ও চিনা সংস্থাগুলির মধ্যে লেনদেন হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা আমদানি মূল্যের সঙ্গে যোগ হয়নি। যা আমদানি আইনের পরিপন্থী। যদিও চিনা সংস্থাটির মুখপাত্রের দাবি, শাওমি ইন্ডিয়া দেশের আইন মেনে চলে। নোটিস দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সব রকম নথি দিয়ে সাহায্য করা হবে।
মন্ত্রক জানিয়েছে, ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্ট্যালিজেন্স যে সমস্ত নথি প্রমাণ হিসেবে সংগ্রহ করেছিল, তাতে দেখা যাচ্ছে আমেরিকার সংস্থা কোয়ালকম ও চিনের বেজিং শাওমি মোবাইল সফটওয়্যারকে রয়্যালটি ও লাইসেন্স ফি বাবদ দেওয়া টাকা আমদানির অঙ্কের সঙ্গে যোগ করেনি শাওমি বা তাদের সঙ্গে চুক্তি করা পণ্য নির্মাতারা। এ ভাবে আমদানি শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে সংস্থা। করেছে মুনাফা। বিশেষত, এ ক্ষেত্রে উঠে এসেছে মি ব্র্যান্ডের ফোনগুলির নাম। যা চুক্তির ভিত্তিতে অন্য সংস্থা তৈরি করে এবং বিক্রি করে শাওমি ইন্ডিয়াকে।
এই সব খতিয়ে দেখেই শাওমি টেকনোলজি ইন্ডিয়াকে তিনটি নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। সেখানে কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬২ মেনে ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত হিসেবে ৬৫৩ কোটি বকেয়া শুল্ক দিতে বলা হয়েছে।