জি২০-র ফাঁকেই বৈঠক শি-ট্রাম্পের

এই দফায় শুল্ক-যুদ্ধের মধ্যে গত ১০ জুন জাপানে জি২০ দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে প্রথম বার সামনাসামনি দেখা হয় মার্কিন অর্থসচিব স্টিভেন মনুচিন এবং চিনের শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রধান ই গ্যাং-এর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯ ০৫:৩২
Share:

ট্রাম্প এবং শি। ফাইল চিত্র

নতুন করে বাণিজ্য-যুদ্ধ শুরুর পরে অবশেষে জি২০ দেশগুলির বৈঠকেই মুখোমুখি হতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। সূত্রের খবর, সেখানেই শুল্ক-যুদ্ধের সমাধান খুঁজতে কথা হতে পারে তাঁদের মধ্যে। একই সঙ্গে ৩০,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে যে শুল্ক চাপানোর হুমকি ট্রাম্প দিয়েছেন, তা আটকানোও শি-র অন্যতম লক্ষ্য বলে খবর।

Advertisement

এই দফায় শুল্ক-যুদ্ধের মধ্যে গত ১০ জুন জাপানে জি২০ দেশগুলির অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে প্রথম বার সামনাসামনি দেখা হয় মার্কিন অর্থসচিব স্টিভেন মনুচিন এবং চিনের শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রধান ই গ্যাং-এর। তখন থেকেই আশা তৈরি হয়েছিল জুনের শেষে জি২০ দেশগুলির প্রধানদের বৈঠকে আলাদা করে কথা বলতে পারেন ট্রাম্প এবং শি। তবে আমেরিকা এই বৈঠক নিয়ে যতটা আগ্রহ প্রকাশ করেছিল, চিনের তরফে অবশ্য তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি।

এই অবস্থায় গত সপ্তাহে ফোনে কথা হয় ট্রাম্প এবং শি-র। তার পরেই জি২০ বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে তিনি দেখা করতে তৈরি বলে জানান শি। রবিবার সরকারি ভাবে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেন, ২৭-২৯ জুন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ওসাকায় ওই বৈঠকে যোগ দেবেন শি।

Advertisement

ট্রাম্পের সঙ্গে কথার পরেই দু’তরফের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই বাণিজ্য এবং অর্থনীতি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে দু’পক্ষ সমাধানের খোঁজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট। মার্কিন প্রশাসন চিনা সংস্থাগুলিকে সমান গুরুত্ব দেবে বলেও শি-র আশা। আর ফোনের পরে ট্রাম্পও বলেছিলেন, দু’জনের বৈঠকের আগেই দু’দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনা শুরু করবেন।

বাণিজ্য নিয়ে বার্তা: এ দিকে ভারতের সঙ্গেও শুল্ক নিয়ে রেষারেষি শুরু হয়েছে আমেরিকার। এই অবস্থায় ২৫-২৭ জুন এ দেশে আসবেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো। সেই সফরেই বাণিজ্য ঘিরে দু’দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব মেটাতে বার্তা দিল মার্কিন উপদেষ্টা গোষ্ঠী ইউএস-ইন্ডিয়া বিজ়নেস কাউন্সিল। তাদের দাবি, এতে ক্রেতারাই ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই দু’দেশের সরকার ও শিল্প মহল কথা বলে এর সমাধান করুক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement