—প্রতীকী চিত্র।
রান্নার গ্যাস বুক করেও মাথায় হাত গড়িয়ার বহু বাসিন্দার। দু’দিনের মধ্যে যে সিলিন্ডার চলে আসে, চার দিন পেরোলেও তার দেখা নেই। একই অভিযোগ কলকাতার বেশ কিছু অংশ এবং উত্তর শহরতলির বিভিন্ন জায়গার মানুষদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, স্থানীয় গ্যাস ডিলারেরা দিন দুয়েক অপেক্ষা করতে বলছেন। কিন্তু তার পরেও তা না এলে কী হবে?
ইন্ডিয়ান অয়েল সূত্রের খবর, কিছু এলাকায় সিলিন্ডারের জোগান আটকে যাওয়ার কারণ কল্যাণীতে ইন্ডেনের এলপিজি বটলিং প্লান্টে শ্রমিক অসন্তোষ। সেখান থেকে মূলত উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও কলকাতার একটা বড় অংশে সিলিন্ডার যায়।
এ মাসের প্রথম সাত দিন কল্যাণীতে কাজ বন্ধ ছিল, অভিযোগ বিজেপি সমর্থিত ঠিকা ট্রান্সপোর্ট মজদুর সঙ্ঘের। তাদের সম্পাদক সঞ্জীব মালো বলেন, ‘‘তৃণমূলের সংগঠন নিজেদের স্বার্থে কর্মবিরতি করেছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে আমাদের ৫৭ জন সদস্যের গাড়ি বসিয়ে দিয়েছে। অথচ ন্যূনতম মজুরি, নিয়োগ, কর্মীদের সুরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক দাবি মানছেন না কর্তৃপক্ষ। আমরা কাজ বন্ধ না করেও সোমবার থেকে আন্দোলনে নেমেছি।’’ সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ সুমন মিত্রের অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে মাসে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকার তছরুপ হচ্ছে কল্যাণী প্লান্টে। তৃণমূল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অজিত কীর্তনিয়ার দাবি, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ। কাজ বন্ধ করিনি। অগস্ট থেকে নতুন টেন্ডার শুরু হওয়ায় প্রথম সাত-আটদিন কাজের গতি শ্লথ ছিল।’’ তাতে গ্রাহকদের সমস্যার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
সংস্থা সূত্রের খবর, এ মাসের গোড়ায় কল্যাণীতে কাজ কার্যত বন্ধ থাকায় সিলিন্ডার আটকেছে। তাই উত্তর শহরতলি ও কলকাতার একাংশের গ্রাহকেরা তা পাননি। তবে ৮ তারিখে ফের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু সূত্র বলছে, আন্দোলনকারীরা প্লান্টের কর্তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। এই নিয়ে দুই ইউনিয়ন পরস্পরের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে কি না, সেটাই প্রশ্ন।
অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর ফেডারেশনের সহ সভাপতি বিজন বিশ্বাস বলেন, ‘‘বহু গ্রাহক অভিযোগ জানিয়েছেন। আশা করছি শীঘ্রই সমস্যা মিটবে। বিভিন্ন বটলিং কেন্দ্রে এমন সমস্যা মাঝেমধ্যেই হয়।’’