বিশ্বের সবচেয়ে মেদহীন গগনচুম্বী অট্টালিকা। (ছবি: সংগৃহীত)
মেদহীন সুশ্রী চেহারা। লম্বাটে গড়ন। পরতে পরতে মিশে আছে অদ্ভুত লালিত্য। না, সিনে দুনিয়ার ডাকসাইটের সুন্দরী কোনও নায়িকা নন। নতুন করে খবরের শিরোনামে এসেছে বিশ্বের সবচেয়ে রোগা গগনচুম্বী অট্টালিকা। চলতি বছরে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে তার নাম। সুউচ্চ ওই বাড়ির যা দাম উঠেছে, তাতে মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অট্টালিকার তকমা পেতে চলেছে সেটি।
আমেরিকার ওই গগনচুম্বী বহুতলের পরিচয় ‘ম্যানহাটন স্টেনওয়ে টাওয়ার’। বাড়িটার উপরের দিকের তলগুলিতে রয়েছে চারটি পেন্টহাউস। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১১ কোটি ডলারে বিক্রি হবে ওই গগনচুম্বী অট্টালিকা। ভারতীয় মুদ্রায় অঙ্কটা প্রায় ৯৪০ কোটি টাকা।
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে উঁচু অট্টালিকা হিসাবে ‘ম্যানহাটন স্টেনওয়ে টাওয়ার’-এর আলাদা খ্যাতী রয়েছে। এর উপরের দিকের তলগুলি থেকে সেন্ট্রাল পার্কের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। বাড়িটির ৮০ থেকে ৮৩তম তলের আয়তন ১১ হাজার ৪৮০ বর্গফুট। একে স্থাপত্য ও প্রকৌশলী বিস্ময় হিসাবে চিহ্নিত করলেও কম বলা হবে।
নিউ ইয়র্কের অন্যতম গগনচুম্বী অট্টালিকাটি যে বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে, সেই খবর প্রথম প্রকাশ করে সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ। সেই প্রতিবেদনে বাড়িটির উচ্চতা ১,৪২৮ ফুট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে রোগা, গগনচুম্বী অট্টালিকা হওয়ার কারণে সেটি নিউ ইয়র্কে একটি আলাদা মাত্রা যোগ করেছে। শুধু তা-ই নয়, এর উচ্চতা ও প্রস্থের অনুপাত ২৪ ও এক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং। তার উচ্চতা ও প্রস্থের অনুপাত এক ও তিন।
‘ম্যানহাটন স্টেনওয়ে টাওয়ার’-এর নকশা তৈরি করে স্টুডিয়ো সোফিল্ড। এর ভিতরের পেন্টহাউসগুলিতে রয়েছে পাঁচটি শোওয়ার ঘর, ছ’টি স্নানের ঘর ও শৌচালয় এবং ৬১৮ বর্গফুটের বহির্মুখী ঝুল বারান্দা। এ ছাড়া পেন্টহাউসের মধ্যে বড় হলঘর, দক্ষিণমুখী রান্নাঘর ও সুদৃশ্য বার দেখতে পাওয়া যাবে। এর একেবারে উপরের তলটির নাম ‘ক্রাউন স্যুট’।