—প্রতীকী ছবি।
শেয়ার বাজারে আসছে টাটা গোষ্ঠীর নতুন সংস্থা। কিছু দিনের মধ্যেই ১৫ হাজার কোটি টাকার ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা আইপিও আনতে চলেছে টাটা ক্যাপিটাল। তার জন্য নিয়মমাফিক বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ‘সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া’ বা সেবির কাছে নথি জমা করেছে দেশের অন্যতম ঐতিহ্যশালী এই শিল্প গোষ্ঠী। সেখানে বলা হয়েছে ওই আইপিওর মাধ্যমে অফার ফর সেলে স্টক বিক্রি করবে টাটা সন্স এবং আইএফসি।
টাটা ক্যাপিটালের আইপিও আনতে সেবির কাছে খসড়া নথি জমা করেছে শিল্প গোষ্ঠীর মূল সংস্থা টাটা সন্স। প্রথামাফিক সেখানে যাবতীয় বিষয় গোপনীয় রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, খসড়া নথিতে কোটাক মাহিন্দ্রা ক্যাপিটাল, সিটি, জেপি মরগ্যান, অ্যাক্সিস ক্যাপিটাল, আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজ়, এইচএসবিসি সিকিউরিটিজ়, আইআইএফএল ক্যাপিটাল, বিএনপি পরিবাস, এসবিআই ক্যাপিটাল এবং এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের নাম রয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, চলতি বছরের ৯ মার্চ ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্রাইবুনাল (এনসিএলটি) থেকে টাটা মোটর্স ফিন্যান্সের সঙ্গে টাটা ক্যাপিটালের একীকরণের চূড়ান্ত অনুমোদন মেলে। এর পরই আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা তোলার পরিকল্পনা সেরে ফেলে সংশ্লিষ্ট শিল্প গোষ্ঠী। সেই মতো সেবির কাছে নথি জমা করেছে তারা।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) তালিকাভুক্ত নন ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্সশিয়াল সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম হল টাটা ক্যাপিটাল। আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন পর্ষদও স্টক বিক্রির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত আইপিওটিতে ২.৩ কোটি ইকুইটি শেয়ার থাকবে। এর মাধ্যমে নতুন স্টক এবং বিদ্যমান লগ্নিকারীদের শেয়ার অফার ফর সেলে বিক্রি হবে বলে জানা গিয়েছে।
শেয়ার বাজারে আইপিওর তালিকাভুক্তির পাশাপাশি নিজেদের আর্থিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে রাইটস ইস্যুর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে টাটা গোষ্ঠী। ২০২৩ সালের নভেম্বরে শেয়ার বাজারে পা রাখে এই শিল্প গোষ্ঠীর আর একটি সংস্থা টাটা টেকনোলজিস। এ বার স্টকের দুনিয়ায় আসতে চলেছে টাটা ক্যাপিটাল।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)