—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব ব্যাঙ্ক, মূল্যায়ন সংস্থা ফিচের মতো একের পর এক সংস্থা চলতি অর্থবর্ষে ভারতে মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের দাবি, আগামী ডিসেম্বরেই মাথা নামাতে পারে তার হার। বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থসচিব টিভি সোমনাথন বলেন, শীতের মরসুমে আনাজ-সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা। ফলে মিলতে পারে স্বস্তি।
মূলত চাল, ডাল, আনাজ-সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের আগুন দামে জুলাইয়ের মূল্যবৃদ্ধি উঠেছিল ৭.৪৪ শতাংশে, ১৫ মাসে সর্বোচ্চ। অগস্টে নামলেও দাঁড়ায় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া ৬% সহনসীমার উপরেই (৬.৮৩%)। সোমনাথনের বার্তা, “মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে মরসুমি প্রভাব এখন ইতিবাচক হতে শুরু করবে। শীতে খাদ্যপণ্যের দাম কমবে ধরেই মনে করা হচ্ছে, ডিসেম্বরে মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা নামবে।’’ আরবিআই-ও ডিসেম্বরে তা ৫.৭ শতাংশে নামার কথা বলেছে।
তবে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত বর্ষা কৃষির ক্ষতি করেছে। বিশেষত আনাজ, ডালের উৎপাদন মার খেয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি তাই চড়া। শীতে কৃষি উৎপাদন বাড়লেও, খুচরো বাজারে তার প্রভাব নিয়ে সংশয় রয়েছে। আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্তের মতে, সাধারণত শীতে ফলন বাড়ায় আনাজের বাড়তি জোগান তার দাম কমায়। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় সেই সমীকরণ খাটবে, তা জোর দিয়ে বলা কঠিন। গত বছর জানুয়ারিতেও মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৬.৫২%। ফেব্রুয়ারিতে ৬.৪৪%। বহু জায়গায় দীর্ঘ অনাবৃষ্টির পরে আচমকা অতিবৃষ্টিতে শীতকালীন ফলন মার খাওয়ার আশঙ্কা।’’