—প্রতীকী ছবি।
গত অর্থবর্ষে প্রত্যাশা ছাপানো ৭.২% আর্থিক বৃদ্ধির পরে অনেকে ধরেই নিয়েছে চলতি অর্থবর্ষেও তা পূর্বাভাসকে টপকাবে। অনুমান বাড়াতেও শুরু করেছে কিছু আর্থিক সংস্থা। কিন্তু মঙ্গলবার উল্টো পথে হেঁটে এই অর্থবর্ষের পূর্বাভাস কমাল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। জানুয়ারিতে বলেছিল ৬.৬% বাড়তে পারে জিডিপি। নামাল ৬.৩ শতাংশে।
সেই সঙ্গে বিশ্ব ব্যাঙ্ক গোষ্ঠীর প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রেসিডেন্ট, নবনিযুক্ত অজয় বঙ্গার সতর্কবার্তা, ‘‘দারিদ্র কমানো ও সকলের মধ্যে উন্নয়ন ছড়ানোর নিশ্চিত রাস্তা কর্মসংস্থান। কিন্তু বৃদ্ধির ঢিমে গতি কাজের সুযোগ তৈরিকে কঠিন করে।’’ তবে বৃদ্ধির পূর্বাভাসই শেষ কথা নয় জানিয়ে তাঁর এটাও দাবি, মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো সুযোগ রয়েছে। সকলে মিলে কাজ করতে হবে।
শ্লথ বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক দায়ী করেছে দেশে চড়া মূল্যবৃদ্ধি, তার জেরে চাহিদায় টান, তাকে যুঝতে সুদ বৃদ্ধির জেরে ধার নেওয়ার খরচ বেড়ে যাওয়াকে। রাজকোষ ঘাটতি সামলাতে গিয়ে সরকারের কেনাকাটা কমানোও সমস্যা তৈরি করেছে। যদিও তাদের মতে, ভারত বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতিই থাকবে। উৎপাদনের মাথা তোলা, বেসরকারি লগ্নি বৃদ্ধি, পরিষেবা ক্ষেত্রে উন্নতি ২০২৩-এ অপ্রত্যাশিত ইতিবাচক অবস্থা তৈরি করছে। পাশাপাশি, বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩.১% থেকে কমিয়ে ২.১% করছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বলেছে, টানা সুদ বৃদ্ধির প্রভাব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া, বিশ্ব অর্থনীতির দোলাচল এবং বিভিন্ন দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরের বছরের বৃদ্ধিকেও ধাক্কা দিতে পারে।