প্রতীকী ছবি।
কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) জমা টাকায় সুদ কমানোর জমি তৈরির জন্য উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কোনও কোনও মহল থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (এআইটিইউসি)। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ারের হস্তক্ষেপ চেয়ে এ দিন তাঁকে চিঠিও দিয়েছে কর্মী সংগঠনটি।
সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে পিএফ থেকে সদস্যেরা ৩০,০০০ কোটি টাকা তুলেছেন। যে সময়টা দেশে লকডাউন চলছিল। এআইটিইউসি-র অভিযোগ, এই প্রেক্ষিতেই কোনও কোনও মহল থেকে জল্পনা ছড়ানো হচ্ছে, এত টাকা চলে যাওয়ায় এ বার আরও কমানো হতে পারে পিএফের সুদ। উল্লেখ্য, গত অর্থবর্ষের জন্য (২০১৯-২০) আগেই এই হার কমিয়ে ৮.৫০% করা হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে অর্থ মন্ত্রক থেকে এখনও এর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।
করোনায় মাথা তোলা আর্থিক সঙ্কটের সুরাহায় মানুষের হাতে নগদ জোগাতে কেন্দ্র পিএফ থেকে বিশেষ অগ্রিম পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, এক জন সদস্য চাইলে তাঁর তিন মাসের বেতন বা পিএফে জমা টাকার ৫০ শতাংশের মধ্যে যে অঙ্কটি কম, তা তুলতে পারবেন।
এআইটিইউসি চিঠিতে বলেছে গত বছরও ওই তিন মাসে ২০,০০০ কোটির মতো অগ্রিম তোলা হয়। সুতরাং এখন অতিরিক্ত ৮-১০ হাজার তোলা হলেও, তাতে তহবিলের তেমন ক্ষতি হওয়ার কারণ নেই। ফলে সুদ ছাঁটার প্রশ্ন উঠছে কেন? এআইইউটিইউসির সভাপতি এবং পিএফের অছি পরিষদের প্রাক্তন সদস্য শঙ্কর সাহার দাবি, টাকা তুললে এমনিতেই সুদ বাবদ কম রিটার্ন মিলবে। এ জন্য সুদ কমাতে হয় না। এমন প্রস্তাব উঠলে তীব্র বিরোধিতার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মী ইউনিয়ন।