কাজের জগতে মেয়েরা আরও বেশি করে যোগ দিলে, ভারতের জাতীয় আয়ের পরিমাণ (জিডিপি) বাড়তে পারে ২৭%। সোমবার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) শুরুর আগে, রবিবার প্রকাশ করা যৌথ গবেষণাপত্রে এই মন্তব্যই করলেন আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের প্রধান ক্রিস্টিন ল্যাগার্দে এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এর্না সোলবার্গ।
এ দিন প্রকাশিত গবেষণাপত্রে তাঁদের দাবি, কর্মজগতে মহিলাদের কম অংশ নেওয়ার চিরাচরিত প্রথা এবং তাঁদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণে ইতি টানতে হবে। কোনও দেশকে আর্থিক ও সামাজিক দিক থেকে আরও সক্ষম হতে গেলে মেয়েদের এগোনোর সুযোগ করে দিতে হবে। এমনকী কর্মজগতে যদি পুরুষদের মতোই মহিলারা সমান ভাবে অংশ নেন, সে ক্ষেত্রে দেশের জাতীয় আয় উল্লেখযোগ্য বাড়তে পারে বলে তাঁদের মত। জাপানের ক্ষেত্রে তা বাড়তে পারে ৯%, আর ভারতের ক্ষেত্রে ২৭%।
প্রসঙ্গত, নভেম্বরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে নারী-পুরুষ বৈষম্যের মাপকাঠিতে ভারত ২১ ধাপ নীচে নেমেছে বলে জানায় ডব্লিউইএফ। জায়গা পায় ১০৮ নম্বরে। ফোরামের মত ছিল, আর্থিক কর্মকাণ্ডে মেয়েরা কম অংশ নেওয়ায় এবং মজুরির হার কম হওয়াতেই এ দেশে পুরুষদের থেকে আরও পিছিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ল্যাগার্দে এবং সোলবার্গের দাবি, পড়াশোনার মাধ্যমে লিঙ্গ বৈষম্য দূর হলে কমবে আয়ের পার্থক্য। আর তা হলে গতি পাবে আর্থিক বৃদ্ধি।