ফাইল চিত্র
দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলকে চাঙ্গা করতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন অর্থসচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ। শনিবার এক ব্লগে তাঁর দাবি, ওই দুই সংস্থার পক্ষে মুনাফার মুখ দেখা কার্যত সম্ভব নয়। সেখানে লগ্নি করা অপচয়।
ওই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থাকে মিশিয়ে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে অক্টোবরে পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। আপাতত সেই পথেই ধাপে ধাপে এগোচ্ছে তারা। দেওয়া হয়েছে স্বেচ্ছাবসর। শনিবার ডিসেম্বরের বকেয়া বেতনও পেয়েছেন বিএসএনএলের কর্মীরা। তবে এখনও তাঁদের জানুয়ারির বেতন বাকি রয়েছে।
এ দিন ব্লগে গর্গ অবশ্য ওই পুনরুজ্জীবন প্রকল্পকে নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, ওই লগ্নি কার্যত জলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেন্দ্রের ঘরে তার কোনও টাকা ফেরত আসবে না। তিনি বলেছেন, ‘‘এই তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে সংস্থাগুলিকে ৪জি লাইসেন্স দিয়ে সেই পরিষেবার পরিকাঠামো তৈরি করার কোনও অর্থ নেই। তারা যে নতুন গ্রাহক টানতে পারবে, সেই সম্ভাবনাও নেই।’’
কটাক্ষ করেই প্রাক্তন অর্থসচিব বলেছেন, ‘‘তার চেয়ে সরকার যদি ওই দুই সংস্থাকে রুগ্ণ করেই ভেন্টিলেটরে বাঁচিয়ে রাখতে চাইত, তা হলে মূলধনী খাতে লগ্নির বদলে সেই অর্থ অনুদান হিসেবে দিলেই সবটা আরও স্বচ্ছ হত।’’ উল্লেখ্য, গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে এমটিএনএলের নিট ক্ষতি বেড়ে হয়েছে ১০৬৫.৩২ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, অন্য বেসরকারি সংস্থার বহু গ্রাহক সেই সংযোগ ছেড়ে বিএসএনএলের সংযোগ নিচ্ছেন। অনেক সময়ই তার সংখ্যা ছেড়ে যাওয়া গ্রাহকের চেয়ে বেশি। ফলে পেশাদার ভাবে সংস্থাটি পরিচালনা করলে প্রতিযোগিতার বাজারেও টিকে থাকতে পারবে তারা।