দেশের অর্থনীতি টলোমলো, প্রায় রোজই পড়ছেসেনসেক্স, দাম কমছে টাকার, সেই সময়ে সোনার চাহিদায় ভাটা পড়েনি এতটুকুও। শেয়ার মার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ড ইত্যাদি সমস্ত বাজারে লগ্নি নিয়ে দু’বার ভাবলেও বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, সোনায় বিনিয়োগের সেরা সময় এটাই। কেন জানেন?
সঞ্চয়ের দুনিয়ায় সোনা সবসময়েই লম্বা রেসের ঘোড়া। হঠাৎ সোনার বাজারে ধস নামার ঘটনা ঘটে না। বরংয় গত ১০ বছরে সোনার দাম বেড়েছে পাঁচ গুণেরও বেশি।
মন্দার বাজারে সোনার কদর থাকে তুঙ্গে।অন্য বাজারের লগ্নি ঘুরে আসে সোনার দিকে। ২০০৮ সালের লেম্যান ব্রাদার্সের পতনের সময় এই ঘটনা দেখা গিয়েছিল।
সোনার লগ্নিতে ঝুঁকি কম। ন্যাশানাল স্টক এক্সচেঞ্জ বা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে (গোল্ড বন্ড) সোনায় লগ্নি করলে লগ্নিকারীর সম্পদরক্ষার দায়িত্ব নেবে সংস্থাই।
মুদ্রাস্ফীতির সময়ে সোনাই লগ্নির নিরাপদ আশ্রয়। এমনকি সরকারি বন্ডের থেকেও তখন সোনার উপর বেশি আস্থা রাখে লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। কারণ শেয়ার বা মিউচুয়াল ফান্ডে আপনার সুদের পরিমাণ বাজারের কারণে কমলেও সোনা আপনাকে ডোবাবে না।
চিনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ডলারের তুলনায় টাকার দাম কমে যাওয়ার শেয়ার বাজার এই মুহূর্তে বেশ টলোমলো। এই অনিশ্চয়তার সময়ে সোনার বিনিয়োগেই জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোনা নিছক গয়না কিংবা সঞ্চয়ের হাতিয়ার নয়। একই সঙ্গে তা সৌভাগ্যের প্রতীক। সমাজের বেশির ভাগ মানুষই একে সামাজিক প্রতিপত্তির সূচক বলে মনে করেন।
মূল্যবৃদ্ধির সময় এলেব্যাঙ্কের সুদ কমে। সুদ কমলে ব্যাঙ্কে টাকা গচ্ছিত রেখে লাভ কী? বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন, তার চেয়ে ভাল সোনায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ।
চাহিদার থেকে জোগানের পরিমাণ সোনায় সবসময় কম। কাজেই সোনার দাম কমার প্রশ্নই নেই। বরং তা বাড়বে। এই কারণেই সোনার বাজার ম্লান হওয়ার আশঙ্কা কম।
শেয়ার বা বন্ডে সুদের টাকাটা চোখে দেখা যায়। সোনায় কোনও প্রত্যক্ষ সুদ নেই। ফলে অনেকে সোনায় বিনিয়োগ থেকে পিছিয়ে আসেন। কিন্তু যখন এই স্টক মার্কেট বা বন্ডের বাজার পড়ছে, তখন সোনা নয় কেন?
যেমন পুরনো গাড়ি সংগ্রহ, তেমনই সোনার কয়েন কেনাও একটি বিরল শখের মধ্যেই পড়ে। এর যোগান বাড়বে না কখনওই, বাড়বে চাহিদা।