প্রতীকী ছবি।
খাদ্যপণ্যের দাম কমার ফলে ডিসেম্বরে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার নেমেছে ৪.৫৯ শতাংশে। একই কারণে এ বার মাথা নামাল পাইকারি মূল্যবৃদ্ধিও। বৃহস্পতিবার শিল্প ও বাণিজ্য উন্নয়ন দফতর (ডিপিআইআইটি) জানিয়েছে, গত মাসে ওই হার ১.২২%। নভেম্বরে যা ১.৫৫% ছিল। আর এক বছর আগে ২.৭৬%। তবে আশঙ্কা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট মহলের। তাদের বক্তব্য, খাদ্যপণ্যের দাম কমা সাধারণ মানুষের কাছে স্বস্তির বার্তা। কিন্তু একই সময়ে মাথা তুলতে তুলতে অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে পেট্রল-ডিজেলের দর। তাতে বাঁধ দেওয়া না-গেলে শাক-আনাজের পরিবহণ খরচ বাড়তে পারে। ফলে আবারও বাড়তে পারে তার দাম। এই অবস্থায় সেই কেন্দ্রের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সমস্ত মহল।
এ দিনের প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গত মাসে পাইকারি বাজারে আনাজের দাম সরাসরি ১৩.২% কমেছে। আগের মাসে যা ১২.২৪% বেড়েছিল। পেঁয়াজের দাম ৫৪.৬৯% কমেছে। আলুর মূল্যবৃদ্ধির হার ১১৫.১২% থেকে কমে হয়েছে ৩৭.৭৫%। মূল্যবৃদ্ধি কমেছে চাল, গম এবং ডালেরও। পাশাপাশি, ফল এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার আগের তুলনায় বেড়েছে।
তবে উদ্বেগের আসল কারণ হল, শিল্প ক্ষেত্রের কার্যকলাপ বাড়ার ফলে জ্বালানি এবং বিদ্যুতের চাহিদা যেমন বেড়েছে, ঠিক তেমনই কিছুটা হলেও বেড়েছে সেগুলির দাম। জ্বালানির দর বাড়ায় পরিবহণ নির্ভর অন্যান্য পণ্যের দাম কোন পথে হাঁটে এখন সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।