ব্যাঙ্ক মেশালেই কি চাঙ্গা হবে বৃদ্ধি, প্রশ্ন

চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫%। স্পষ্ট হয়েছে চাহিদা ও নতুন লগ্নিতে ভাটার ছবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১৩
Share:

নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।

দশটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে চারটি করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেছেন, এতে ঋণের জোগান বাড়বে। যা অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছতে সাহায্য করবে। কেন্দ্রের যুক্তি, বিপুল অনাদায়ি ঋণের জেরে নতুন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যাঙ্কের উপরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কড়াকড়ি (পিসিএর আওতায়) রয়েছে। সংযুক্তির পরে তা থাকবে না। কিন্তু রাজনীতির কারবারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন, বাজারে বিক্রিবাটার যা পরিস্থিতি, তাতে ব্যাঙ্কগুলি ধার দিতে চাইলেও অদূর ভবিষ্যতে সেই ঋণের চাহিদা এবং তার কাঁধে ভর করে বৃদ্ধির হার বাড়বে কি?

Advertisement

চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫%। স্পষ্ট হয়েছে চাহিদা ও নতুন লগ্নিতে ভাটার ছবি। কেন্দ্র এখন তাকিয়ে উৎসবের মরসুমের দিকে। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, এতে চাহিদা সাময়িক ভাবে বাড়তে পারে। কিন্তু তা স্থায়ী না-হলে নতুন লগ্নি আসা বা শিল্প ঋণের চাহিদা বাড়া কঠিন।

মোদী সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে শনিবার বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যন স্বামী বলেছেন, ‘‘নতুন আর্থিক নীতি নেওয়া না-হলে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিকে গুডবাই জানাতে তৈরি হোন।’’ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার দাবি, ‘‘অচ্ছে দিনের ভেঁপু বাজানো বিজেপি সরকার অর্থনীতির চাকা ফুটো করে দিয়েছে।’’ সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোগ, ‘‘অসৎ শিল্পপতিদের থেকে বকেয়া ঋণ উদ্ধার না-করে, লোকসান ধামাচাপা দিতে ব্যাঙ্কগুলিকে জোড়া হচ্ছে।’’

Advertisement

অনেকে বলছেন, পিএনবির সঙ্গে ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক ও ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক মিশছে। কিন্তু পিএনবির নিজের অবস্থাই ভাল নয়। ওবিসি পিসিএ থেকে বেরিয়েছে। ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক এখনও ওই তালিকায়। ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশতে চলা কর্পোরেশন ব্যাঙ্কের হাল ভাল নয়। সংযুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন কর্মীরাও। ফিচের ডিরেক্টর (আর্থিক প্রতিষ্ঠান) শাশ্বত গুহের মতে, ব্যাঙ্কের সমস্যা মেটাতে চাই আরও পুঁজি। আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজ়ের অর্থনীতিবিদ অনঘ দেওঘর বলেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দাওয়াই চাই। কিন্তু রাজকোষের হাল তেমন শক্তিশালী নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement