প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মী নতুন হারে বেতন পাচ্ছেন জানুয়ারি থেকে। বছরের গোড়ায় সংশোধিত বেতনের আশায় দিন গুনছিলেন বিদ্যুৎ কর্মীরাও। কিন্তু তাতে বাদ সাধছে বেতন কাঠামো বদলের সুপারিশ নিয়ে বেতন কমিটির রিপোর্ট পেশের সময় বারবার পিছিয়ে যাওয়া। ফলে নতুন বেতন হার কবে থেকে কার্যকর হবে, তা নিয়ে বিদ্যুৎ ভবনের অন্দরেই চলছে জোর গুঞ্জন। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে বিদ্যুৎ কর্মীদের বেতন কাঠামোয় কিছু ফারাক ছিল। সেই সব খতিয়ে দেখে কমিটি চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করবে বলেই সময় বেশি লাগছে। যদিও কবে থেকে নয়া কাঠামো কার্যকর হবে সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি।
বিদ্যুৎ কর্মীদের বেতন সংশোধনের জন্য গত অক্টোবরে কমিটি তৈরি হয়। তাদের রিপোর্ট জমার সময়সীমা পিছোতে পিছোতে হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। বিদ্যুৎ ভবনের তৃণমূল সমর্থিত কর্মী ইউনিয়নের দাবি, ১৭ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পর্ষদ বৈঠকে বসতে পারে। তখন আলোচনা হতে পারে বেতন কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট নিয়ে। সে ক্ষেত্রে ওই দিনই বেতন সংশোধনের সুপারিশগুলির পর্ষদের অনুমোদন পাওয়ার কথা। তবে সংশোধিত বেতন জানুয়ারি থেকে চালু হবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা ইউনিয়নগুলির নেই।
কবে কী
• বিদ্যুৎ কর্মীদের বেতন সংশোধনের লক্ষ্যে অক্টোবরে তৈরি হয় কমিটি
•রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল ১৫ ডিসেম্বর
•পরে পিছিয়ে ৩১ জানুয়ারি
•ফের সেই সময় পিছিয়ে হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি
•বেতন কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট নিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি আলোচনায় বসতে পারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পর্ষদ
•সেখানেই বেতন সংশোধনের সুপারিশে সিলমোহর বসার কথা
সূত্রের দাবি, বিদ্যুৎ কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারেই মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) পান। কিন্তু তাতে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন মহল। ফলে একাংশের আশঙ্কা, নতুন বেতন কাঠামোয় ডিএ পাওয়ার নিয়মে রদবদল হতে পারে। বিভিন্ন সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ কর্মী ও আধিকারিকেরা এত দিন বেতনের সঙ্গে বাড়ি ভাড়া-সহ যে বিদ্যুৎ ভাতা পেতেন, তাতেও বদল আসতে পারে।