WhatsApp

WhatsApp: এক মাসে ২২ লাখ ভারতীয়র হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ হয়েছে, নিয়ম ভাঙায় কড়া পদক্ষেপ

নভেম্বরের ১ তারিখে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে সংস্থার কাছে মোট ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়ে। অগস্টে জমা পড়েছিল ৪২০টি অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২১ ১২:৩৪
Share:

নীতি না মানলে কড়া পদক্ষেপ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতীকী চিত্র

শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই ২২ লাখের বেশি ভারতীয়র হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনই তথ্য পেশ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী গত সোমবার সেপ্টেম্বর মাসের রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২২ লাখ ৯ হাজার ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক পরিচালিত হোয়াটসঅ্যাপ। ২০২১ সালের ২৬ মে থেকে কার্যকর হওয়া ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, ৫০ লাখের বেশি গ্রাহক রয়েছে এমন অ্যাপ বা অন্য কোনও প্লাটফর্মকে মাসিক রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে। এর আগে অক্টোবরের গোড়ায় যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে জানা যায়, সেই সময়ের আগে ৩০ লাখ ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ।

Advertisement

নভেম্বরের ১ তারিখে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে সংস্থার কাছে মোট ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়ে। অগস্টে জমা পড়েছিল ৪২০টি অভিযোগ। সে সবের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্থা অ্যাপ ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষায় কোনও ত্রুটি রাখে না। ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড’ মেসেজ পরিষেবা দেওয়া হয়। একই ভাবে কোনও গ্রাহক অ্যাপের অপব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।

হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয় যে, যাঁদের মোবাইলে এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে অপব্যবহারের অভিযোগ থাকে। শুধু ভারতেই নয়, গোটা বিশ্বেই এই পদক্ষেপ করে হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্ব জুড়ে মাসে যার পরিমাণ ৮০ লাখের কাছাকাছি। এ দেশে সেপ্টেম্বর মাসে যে সব অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে তার অনেকগুলি আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া ছিল। বন্ধ থাকার সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে যে নীতি মেনে চলে তা ভাঙার জন্যই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

হোয়াটসঅ্যাপের বক্তব্য, মূলত চারটি বিষয়ে গ্রাহকদের সতর্ক থাকা উচিত। ওই বিষয়গুলি না মানলেই অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধুই পরিচিতদের মেসেজ পাঠানো উচিত। কাউকে কোনও গ্রুপে যুক্ত করার আগে অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। গ্রুপে কোনও রকম বিদ্বেষমূলক বা সদস্যদের আঘাত করার মতো মেসেজ পাঠানো হচ্ছে কি না তা গ্রুপ অ্যাডমিনদের নজরে থাকতে হবে। কোনও মেসেজ পেলেই তা ফরোয়ার্ড করে দেওয়ার অভ্যাস বন্ধ রাখাই ভাল। এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ বলে এক সঙ্গে অনেককে (বাল্ক) মেসেজ পাঠানো ঠিক নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement