প্রতিবাদ: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে পিএমসি গ্রাহক। ফাইল চিত্র
অ্যাকাউন্ট থেকে ইচ্ছে মতো টাকা তোলার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরে মামলা দায়ের করেছিলেন পঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ (পিএমসি) ব্যাঙ্কের ক্ষুব্ধ আমানতকারীরা। তার শুনানিতে সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে বম্বে হাইকোর্ট জানতে চাইল, আর্থিক অনিয়মের জেরে সঙ্কটে পড়া ওই গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কী পদক্ষেপ করেছে তারা। তবে নিষেধাজ্ঞা তুলতে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়ার আর্জি খারিজ করেছে আদালত। এ দিকে, মারা গিয়েছেন পিএমসি ব্যাঙ্কের আরও এক গ্রাহক। অভিযোগ, টাকার অভাবে চিকিৎসা-খরচ দিতে পারেননি ৭৪ বছরের অ্যান্ড্রু লোবো। এ নিয়ে ব্যাঙ্কটির আট জন গ্রাহক মারা গেলেন।
এক আবেদনকারীর আর্জি ছিল, আরবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হোক গ্রাহকদের ব্যাঙ্কের লকার খুলতে দেওয়ার জন্য। রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে টপকে আদালত এতে সায় দিতে পারে না জানিয়ে, সেই নির্দেশ দিতেও অস্বীকার করেছে হাইকোর্টের দুই বিচারপতিদের বেঞ্চ। তবে বলেছে, গ্রাহকেরা চাইলে ফের আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন।
পিএমসি ব্যাঙ্কে ৪,৩৫৫ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরেই গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শুরুতে তা ছিল ছ’মাসে ১,০০০ টাকা। এখন ৪০,০০০ টাকা। তবে এই কাড়াকড়ি নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। শীর্ষ ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে টানা বিক্ষোভ দেখানোর সঙ্গেই নিষেধকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেন তাঁদের অনেকে। তারই শুনানি ছিল আজ।
এ দিন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘এই ব্যাঙ্ক ঘিরে যে সব প্রশ্ন উঠেছে, তার পুরোটাই শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানে। ওই ব্যাঙ্কটি তাদের আওতায় ও এ ধরনের বিষয়ে তারাই বিশেষজ্ঞ। আমরা আপনাদের (আরবিআই) কর্তৃত্বে হস্তক্ষেপ করতে ও তার গুরুত্ব হালকা করতে চাই না।’’ তাদের মতে, এই ধরনের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বিচারক আসলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কই, আদালত নয়।গ্রাহকদের লকার খুলতে দেওয়ার আবেদন খারিজ করার ক্ষেত্রেও বেঞ্চের দাবি, ‘‘এই সায় দিতে পারে না আদালত। কোনও ঘটনায় আরবিআই পদক্ষেপ করলে, আমরা বা অন্য কেউ কী করে আটকাবো! যদি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলে ‘ব্যাঙ্ক থেকে দূরে থাকুন’, তবে তাই করুন।’’ তার পরেই শীর্ষ ব্যাঙ্ককে হলফনামা দিতে বলে আদালত।