ফাইল চিত্র।
পর্যটন সম্ভারের বৈচিত্রে অনেক রাজ্যের চেয়েই এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসা বৃদ্ধির কৌশল এবং এগিয়ে চলার দিশা স্থির করতে চলতি বছরের বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনে (বিজিবিএস ২০২২) এই শিল্পের জাতীয় সংগঠন ফেডারেশন অব অ্যাসোসিয়েশন্স ইন ইন্ডিয়ান টুরিজ়ম অ্যান্ড হসপিটালিটি (ফেথ)-র সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি সেই পরিকল্পনা নিয়ে দু’পক্ষের প্রথম কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ের প্রেক্ষিতে নীতি তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে ঠিক হয়েছে, বিশেষ ধরনের পর্যটন ক্ষেত্রের উপর বাড়তি নজর দেওয়ার জন্য গড়া হবে আলাদা গোষ্ঠী (সাব গ্রুপ)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, এ রাজ্যের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে পর্যটনকে যুক্ত করতে চায় রাজ্য। সেই কারণে একটা সার্বিক রূপরেখা তৈরিতে জোর দেওয়া হবে। বহু পর্যটক এখন বিশেষ ধরনের কিছু পর্যটনে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। যেমন— হেরিটেজ টুরিজ়ম, রুরাল টুরিজ়ম, ফিল্ম টুরিজ়ম, অ্যাডভেঞ্চার টুরিজ়ম, ইকো বা রিভার টুরিজ়ম। এমনকি এই রকম প্যাকেজ হিসাবেই তালিকায় মাইস-এর (মিটিংস, ইনসেন্টিভস, কনফারেন্সেস অ্যান্ড এগ্জ়িবিশন) চাহিদা বাড়ছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাই এই বিশেষ ধরনের পর্যটনে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি হবে আলাদা আলাদা গোষ্ঠী।
পর্যটন শিল্প উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিকল্পনার বিস্তারিত মূল্যায়নেও সহমত হয়েছে রাজ্য সরকার এবং ফেথ। তার মধ্যে রয়েছে— হেরিটেজ টুরিজ়ম-সহ (রাজ্যের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলিতে ভ্রমণ) বিভিন্ন ধরনের পর্যটনের নীতি প্রণয়ন, পর্যটন কেন্দ্রের শেষ পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বিভিন্ন অনুমোদন সহজে পেতে এক জানলা ব্যবস্থা জোরদার করা, পর্যটকদের যাতায়াত সহজ এবং মসৃণ করা, সব থেকে জরুরি ১০টি পরিষেবা ও ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ, জেলাভিত্তিক পর্যটন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ।
দু’পক্ষেরই দাবি, যে কৌশল এবং পরিকল্পনা তৈরি হবে তাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ ও পেশাদারদের দক্ষতার উপরে জোর দেওয়া হবে। যা এই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের আরও নতুন দরজা খুলবে। কর্মী এবং পেশাদারেরা যত দক্ষ হবেন, পর্যটনের পরিষেবাও তত মসৃণ এবং লাভজনক হবে।