প্রতীকী ছবি।
আকাশপথে পাড়ি দিয়ে ওষুধ কিংবা পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেবে ড্রোন! অদূর ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক ভাবে এই ব্যবস্থা চালুর সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।
কৃষি, খনি ক্ষেত্রের পাশাপাশি পণ্য পরিবহণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত জায়গায় ড্রোনের মাধ্যমে পরিষেবার রাস্তা খুলে দিতে গত বছর ড্রোন নীতি এনেছিল কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই দেশের আটটি শহরে ফ্লিপকার্ট, সুইগি, ব্লু ডার্টের মতো কিছু সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রোনের মাধ্যমে তাদের পণ্য জোগান দেওয়া শুরু করেছে স্কাই এয়ার মোবিলিটি। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনীতে ফ্লিপকার্ট হেলথ প্লাসের ওষুধ পৌঁছে দেয় তারা।
স্কাই এয়ার মোবিলিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শ্রীকান্ত সারদার বক্তব্য, তিন বছরে নানা ক্ষেত্র মিলিয়ে দেশের ড্রোন পরিষেবার বাজার ৫০০ কোটি ডলারে (প্রায় ৪০,০০০ কোটি টাকা) পৌঁছতে পারে। এর পাঁচ ভাগের এক ভাগ আসবে পণ্য পরিবহণ ক্ষেত্র থেকে। তাঁদের দাবি, বারুইপুর থেকে মাতঙ্গিনী পর্যন্ত ড্রোনটি এক ঘণ্টায় ১০৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। সড়ক পথে দূরত্ব ১৮৫ কিলোমিটার। গাড়িতে লাগে পাঁচ ঘণ্টা। শ্রীকান্ত আরও বলেন, ড্রোনে পাঠানো ওষুধ বা পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ মাসের শেষে বাণিজ্যিক ভাবে পরিষেবা শুরু করারপরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্যোগী হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যও। শ্রীকান্তের দাবি, সরকারি বরাত জোগানের জন্য হিমাচল প্রদেশের দরপত্র জিতেছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় ড্রোন নীতিতে আকাশ পথের ৮০ শতাংশই ড্রোন চলাচলের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। তবে শ্রীকান্ত জানান, ৪০০ ফুটের বেশি উচ্চতায় ড্রোন ওড়ানো যাবে না। ঘণ্টায় ৪০-১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দিতে পারে বিভিন্ন ড্রোন।