Centre

West Bengal: কেন্দ্রের রিপোর্টে তৃতীয় শ্রেণিভুক্ত ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ রাজ্যের তালিকায় নাম পশ্চিমবঙ্গের

২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ব্যবসা এবং লগ্নির  পরিবেশ কতটা সহজ, সেই নিরিখে রাজ্যগুলির মূল্যায়ন শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২২ ০৫:১৬
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণি নয়। ব্যবসা এবং লগ্নির পরিবেশ কতখানি সহজ, সেই মাপকাঠিতে পশ্চিমবঙ্গ মোদী সরকারের রিপোর্টে তৃতীয় শ্রেণিভুক্ত ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ রাজ্যের তালিকায় স্থান পেল।

Advertisement

ব্যবসা ও লগ্নির পরিবেশ সহজ করতে কোন রাজ্য কতখানি সংস্কারের কাজ করছে, তা যাচাই করে প্রতি বছরই কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের শিল্পোন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য উন্নয়ন দফতর রিপোর্ট প্রকাশ করে। আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল ২০২০ সালের রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। অন্য বারের মতো রাজ্যগুলির মধ্যে কে প্রথম, কে দ্বিতীয় বা তৃতীয়, তার মধ্যে যায়নি সরকার। তার বদলে রাজ্যগুলিকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণি হল ‘টপ অ্যাচিভার্স’ বা চূড়ান্ত সফল রাজ্যের শ্রেণি। তার মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, হরিয়ানা, কর্নাটক, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানা। দ্বিতীয় শ্রেণি ‘অ্যাচিভার্স’ বা সফল রাজ্যের তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড। তৃতীয় শ্রেণি ‘অ্যাসপায়ারার্স’ বা উচ্চাকাঙ্ক্ষী। এই রাজ্যের তালিকাতেই ঠাঁই হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। সঙ্গে রাজস্থান, কেরল, অসম, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যও এই শ্রেণিতে রয়েছে। এর পরেও অবশ্য দিল্লি, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে উঠতি রাজ্য বা ‘ইমার্জিং বিজনেস ইকোসিস্টেমস’-এর শ্রেণিতে রাখা হয়েছে।

২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ব্যবসা এবং লগ্নির পরিবেশ কতটা সহজ, সেই নিরিখে রাজ্যগুলির মূল্যায়ন শুরু হয়। প্রথম কয়েক বছর শুধুমাত্র কাজের প্রমাণের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হত। এখন হয় পুরোপুরি ব্যবসায়ী, লগ্নিকারী ও শিল্পমহলের মতামত নিয়ে। শিল্পোন্নয়ন দফতরের সচিব অনুরাগ জৈন বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে ফারাক এতটাই কম যে তাদের মধ্যে কে প্রথম বা কে দ্বিতীয়, সেই তালিকায় না গিয়ে তাদের বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২০ সালের ‘বিজনেস রিফর্মস অ্যাকশন প্ল্যান’-এ মোট ৩০১টি সংস্কারের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হয়েছে। হাতের নাগালে তথ্য, এক জানলা ব্যবস্থা, শ্রমিক, পরিবেশ, জমি, প্রশাসন, জমি-সম্পত্তি হস্তান্তরের মতো ১৫টি ক্ষেত্র, যেখানে লাল ফিতের ফাঁস রয়েছে তার মধ্যে এইসংস্কারগুলি রয়েছে।

Advertisement

সীতারামন বলেন, ১৯৯১ সালের আর্থিক সংস্কারের মতো এই সব সংস্কারের ক্ষেত্রে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। এখন এর লক্ষ্য একটাই, দেশে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের উন্নতি। সরকারের অন্যান্য সব কিছুর মতো এই ব্যাপারেও রাজ্যগুলিকে সংস্কারে উৎসাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে। একই সুরে আরেক মন্ত্রী গয়ালের বক্তব্য, এক রাজ্য যাতে অন্য রাজ্যের থেকে শিখতে পারে এবং সামগ্রিক ভাবে ভারত লগ্নির সব থেকে পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠতে পারে, সেটাই মোদী সরকারের এই মূল্যায়নের লক্ষ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement