ফাইল চিত্র।
রাজ্যের পণ্য মজুত ও পরিবহণ নীতি (লজিস্টিক্স) প্রায় তৈরি। এ বার এই বিষয়টি নিয়ে শিল্পের মত চায় সরকার। শনিবার সিআইআইয়ের এক ওয়েবিনারে এ কথা জানিয়ে অর্থ তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, মতামত খতিয়ে দেখে নীতিতে শিল্পের প্রস্তাব যতটা সম্ভব যুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি, রাজ্যে দু’একটি লজিস্টিক্স পার্ক তৈরির দায়িত্ব নিতেও বণিকসভাটিকে আহ্বান জানান তিনি।
দেশে কম খরচে ও দ্রুত পণ্য পরিবহণের জন্য সড়ক, রেল ও জলপথে সমন্বয়ে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র, রাজ্য ও শিল্প মহল। সেই সূত্রে এ দিন বৈঠকে অমিতবাবুর পাশাপাশি ছিলেন শিল্প দফতরের সচিব বন্দনা যাদব। আবার কেন্দ্রীয় সংস্থা হিসেবে কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমারও তাতে অংশ নেন।
শিল্পমন্ত্রীর দাবি, শুধু পশ্চিমবঙ্গেই মোট ক্রেতার সংখ্যা ১.৪ কোটি। উত্তর-পূর্ব ভারত ধরলে তা ৪.৬ কোটি। শুধু এ রাজ্যেই পণ্য মজুত ও পরিবহণের বাজার প্রায় ২০০০ কোটি ডলার। তিনি বলেন, এই বিপুল বাজার ধরতে পরিকাঠামো গড়ার জন্য লগ্নি করুক শিল্প। সেই সঙ্গে হলদিয়ায় প্রায় ৩০০ একর জমি হাতে থাকার কথা জানিয়ে তাঁর প্রস্তাব, সেখানে বা রাজ্যের অন্য কোথাও লজিস্টিক্স পার্ক গড়তে এগিয়ে আসুক সিআইআই। পাশাপাশি এ দিন ডানকুনি, দুর্গাপুর, তাজপুর, মালদহ ও শিলিগুড়িতে লজিস্টিক্স ক্লাস্টার তৈরিতেও লগ্নির আহ্বান জানান তিনি।
কুমার জানান, এখন বন্দরে রফতানির পণ্য খালাস করে ট্রাকগুলি খালি ফিরে যায়। আবার আমদানির পণ্য আনতে খালি ট্রাক আসে। অথচ ফেরার সময়েই আমদানির বরাত রয়েছে কি না, অনলাইনে সংশ্লিষ্ট সংস্থা তা দেখে নিলে আর খালি ট্রাক ফেরত নিয়ে যেতে হয় না। আবার সড়কপথে ট্রাকের চাপও কমে। এই কথা মাথায় রেখে এ ধরনের পরিষেবা আনা হবে বলে এ দিন জানান তিনি।