প্রতীকী ছবি।
বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নত করতে এবং লোকসান কমাতে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের (এআইআইবি) থেকে ঋণ নিয়ে বণ্টন পরিষেবার আধুনিকীকরণ প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিল। তা রূপায়ণের পথে আরও একধাপ এগোল বণ্টন সংস্থা। বিশ্ব ব্যাঙ্কের সদর দফতরের অনুমোদন পেলে সেই সংক্রান্ত চুক্তি হওয়ার কথা। তবে তার আগে কী ভাবে প্রকল্পটি রূপায়িত হবে, তার নির্দেশিকা তৈরির শর্ত দেওয়া হয়েছিল। সোমবার সেটি চূড়ান্ত করেছে বণ্টন সংস্থা।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৮০০ কোটি টাকা। নাম, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন গ্রিড মডার্নাইজ়েশন। বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং এআইআইবি, দু’পক্ষই এ জন্য ৩৫% করে খরচ ঋণ হিসাবে দেবে। বাকি ৩০ শতাংশের দায় রাজ্য বা বণ্টন সংস্থার। বিশ্ব ব্যাঙ্কের সঙ্গে এ জন্য প্রাথমিক সমঝোতা হলেও, বলা হয়েছিল চূড়ান্ত চুক্তির আগে ওই নির্দেশিকা তৈরি-সহ একগুচ্ছ শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণ, প্রাতিষ্ঠানিক নানা গাঁটছড়া, কাজের পদ্ধতি, আর্থিক পরিচালন ব্যবস্থা ইত্যাদি ওই নির্দেশিকায় নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকবে।
প্রকল্পের আওতায় আরও বেশি ট্রান্সফর্মার বসানোর কথা। তৈরি হওয়ার কথা কম জায়গা নেয় এমন সাব-স্টেশন (গ্যাস ইনসুলেটেড সাব স্টেশন), মাটির নীচ দিয়ে টানা তার ইত্যাদি পরিকাঠামোও। সরকারি সূত্রের
দাবি, সেগুলি বাস্তবায়িত হলে এক দিকে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন জোগান নিশ্চিত করা যাবে, তেমনই কমবে ভোল্টেজের সমস্যা। ফলে আরও উন্নত পরিষেবা দিতে পারবে বণ্টন সংস্থা। বিদ্যুৎ সরবরাহের সময় উন্নত পরিকাঠামোর অভাবে সংস্থার যে ক্ষতি হয়, তা কমানোও সহজ হবে।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রাথমিক সমঝোতা হওয়ার পরে প্রকল্প চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেতে জন্য আমেরিকায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের সদর দফতরে গিয়েছে। বছর শেষে ব্যাঙ্কের পর্ষদের বৈঠক। সব কিছু ঠিক থাকলে তার পরে সায় মিলবে। তা বাস্তবায়িত হওয়ার কথা দু’বছরে।