প্রতীকী ছবি।
ভারত-সহ গোটা বিশ্ব দূষণ এড়াতে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারে জোর দিচ্ছে। যার অন্যতম হাইড্রোজেন। চাহিদার সঙ্গে পা মেলাতে তাই হাইড্রোজেন উৎপাদন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা করেছে পশ্চিমবঙ্গও। প্রকল্প তৈরি হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র দুর্গাপুর প্রজেক্টসে (ডিপিএল)। যেখানে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের তোড়জোড়ও চলছে। সব ঠিকঠাক চললে সেটিই হবে রাজ্যের প্রথম হাইড্রোজেন উৎপাদন কেন্দ্র। পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরির জন্য উপদেষ্টা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
দূষণহীন বিকল্প বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার নিয়ে মঙ্গলবার বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের এক সভায় রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুরেশ কুমার তাঁদের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। সেই সূত্রেই উঠে আসে হাইড্রোজেন নিয়ে সরকারের আগ্রহের কথা। তাঁর দাবি, ডিপিএলে ২৭ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। ছয়-আট মাসের মধ্যে তা চালু হবে। সেখানেই তৈরি হবে ‘গ্রিন হাইড্রোজেন’ উৎপাদন কেন্দ্রটি। উপদেষ্টা নিয়োগ করতে আগ্রহপত্র চাওয়া হয়েছে। মাস দেড়েকের মধ্যে তা চূড়ান্ত হলে, পরের ছয়-আট মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরি হবে বলে আশা। সচিব জানিয়েছেন, ডিপিএলে আরও কিছু অপ্রচলিত শক্তি প্রকল্প নির্মাণে আগ্রহী তাঁরা।
বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিচ্ছে আর এক বিদ্যুৎ সংস্থা দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনও (ডিভিসি)। এ দিন সংস্থাটির মেম্বার (ফিনান্স) অরূপ সরকার জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে ডিভিসি-র মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ৪০% আসবে বিকল্প বা অপ্রচলিত ক্ষেত্র থেকে। সংস্থার চারটি বাঁধের জলাধার মিলিয়ে ২০০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, তারা যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি গড়তে চায়। প্রাথমিক ভাবে এনটিপিসি-র সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ডিভিসি-র। আরও কিছু সংস্থার সঙ্গে জোট হতে পারে। সব ঠিক চললে ২০২৩-২৪ সালে প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা।
এর পাশাপাশি রাজ্যের বাজি প্রাকৃতিক গ্যাসের জোগানও। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাইপলাইন গড়ছে। গেল-এর আঞ্চলিক সিজিএম অসীম প্রসাদ জানান, দুর্গাপুর থেকে হুগলির রাজারামবাটি পর্যন্ত পাইপলাইন ২০২৩-এর মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুর্গাপুর-হলদিয়া, ধামড়া-হলদিয়া, বারাউনি-গুয়াহাটি পাইপলাইনও সম্পূর্ণ হওয়ার আশা।