—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোট শেষ। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। ঘটনাচক্রে এই সময়েই কর্মসংস্থানে বাড়তি জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
শুক্রবার সব জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে কর্মসংস্থানমুখী কারিগরি শিক্ষায় বিশেষ জোর দিয়েছে প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল। শিল্প মহলের চাহিদা বুঝে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আগেই শুরু হয়েছে রাজ্যে। একাধিক সংস্থার সঙ্গে বোঝাপড়াও করেছে রাজ্য। যাতে তারা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব নিতে পারে। জেলায় জেলায় সেই কাজের অগ্রগতি যাতে কোনও ভাবে বাধা না পায়, প্রশাসনের তরফে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ পেয়েছেন জেলা-কর্তারা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে শিল্প মহলকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, বাজারে চাহিদার উপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য চাইলে তারা আইটিআইয়ের মতো সরকারি প্রশিক্ষণের পরিকাঠামো ব্যবহার করতে পারে।
এ দিকে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আগামী ১-১৮ অগস্ট পর্যন্ত ব্লকে ব্লকে ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য সহায়তাপ্রদান কর্মসূচি চলবে। শিবির হবে কলকাতা পুরসভায় প্রত্যেক বরো এলাকাতেও। সেই পর্বে ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি রাজ্য সরকারি সূত্রের। ‘ব্লক লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটি’র সঙ্গে সমন্বয় করে এই ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।
রাজ্যের দাবি, নতুন বালি উত্তোলন নীতি রাজস্ব বাড়াতে এবং অবৈধ ভাবে বালি তোলার সুযোগ কমিয়েছে। জেলাশাসকদের উদ্দেশে নবান্নের নির্দেশ, গোটা পদ্ধতির উপর নিয়মিত নজরদারি রাখতে হবে।