ফাইল চিত্র।
বছর খানেক পেরিয়ে ১১ নম্বরেই দাঁড়িয়ে রাজ্য।
কে উদ্ভাবনে কতটা এগিয়ে, তা যাচাইয়ের জন্য নীতি আয়োগের সূচকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের তালিকায় প্রথম দশে ঠাঁই পেল না পশ্চিমবঙ্গ। ২০২০ সালেও পায়নি। টানা দু’বছরই একাদশে তারা। অথচ ২০১৯-এ অষ্টম স্থান দখলের পরে উদ্ভাবনের দুনিয়ায় বাংলার উন্নতি পাকা বলেই ধরে নিয়েছিল সংশ্লিষ্ট মহল। কিন্তু ওঠার বদলে রাজ্যের তিন ধাপ নেমে যাওয়ার অন্যতম কারণ সহায়ক পরিবেশের অভাব বলেই ইঙ্গিত কেন্দ্রের আর্থিক উপদেষ্টার। বৃহস্পতিবার তারা ২০২১ সালের যে উদ্ভাবন সূচক প্রকাশ করেছে, তাতে ওই ১৭টি বড় রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে কর্নাটক, দ্বিতীয় তেলঙ্গানা, তৃতীয় হরিয়ানা, শেষে ছত্তীসগঢ়।
নীতি আয়োগের বক্তব্য, মেধাসম্পদের বিচারে দেশের মানচিত্রে এ রাজ্য অগ্রগণ্য। স্টার্ট আপের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। কিন্তু উদ্ভাবনের পরিবেশ খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। নতুন কিছু ভাবার সক্ষমতা এবং তাকে কাজে রূপান্তরের নিরিখে স্থিতিশীলতা রয়েছে। তার মানে, রাজ্য সরকারকে নীতি বদলাতে হবে। খতিয়ে দেখতে হবে ভাবনার সহায়ক পরিবেশ। তবে এ রাজ্য নতুন উদ্যোগগুলি বিবেচনা করে দেখে বলেও জানিয়েছে আয়োগ।
সমীক্ষা বলছে কর্নাটক টেক্কা দিয়েছে সর্বাধিক বিদেশি প্রত্যক্ষ লগ্নি টেনে এবং ব্যবসার পুঁজি জোগাড়ে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের সঙ্গে প্রচুর চুক্তি করে। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডও সেরা দশে। উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার অগ্রগতির কারণ ব্যবসার উন্নত পরিবেশ, লগ্নির সুরক্ষিত আবহ, নেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি।
সার্বিক উদ্ভাবনের তালিকায় ১৭টি রাজ্যের মধ্যে সেরা কর্নাটকের সূচক ১৮.০১। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ ১২.৯৮। সক্ষমতার মাপকাঠিতে সেরা হরিয়ানা। তারা পেয়েছে নম্বর ২২.৬৮, রাজ্যের ১৫.৩৭। স্থান ১৫। তবে পারফরম্যান্সে রাজ্য ষষ্ঠ। পেয়েছে ১০.৬০। শীর্ষ তেলঙ্গানার ১৫.২৪। যদিও বিনিয়োগ, গবেষণা, সুরক্ষা ও আইনি পরিবেশের মতো মাপকাঠিতে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে।
নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান সুমন বেরি রিপোর্ট প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সূচককে অনুসরণ করেছেন তাঁরা। উদ্ভাবনের সক্ষমতা ও তার বাস্তবায়নের মাপকাঠিতে জোড়া হয়েছে নতুন কিছু শর্ত।