প্রতীকী ছবি।
লকডাউন ধাপে ধাপে উঠলেও, গ্রাহকদের বাড়ি থেকে ব্যাঙ্কের টাকা তোলার পরিষেবা চালু রাখবে ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার ও মোবাইল নম্বর যুক্ত থাকলে, এই পরিষেবার আওতায় ডাকঘর থেকে তার টাকা তোলা যাচ্ছিল। গ্রাহকের বাড়িতে গিয়েও সেই সুবিধা দিচ্ছিলেন ডাককর্মীরা। এ ভাবে তোলা যায় দিনে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা। সার্কলের পিএমজি (কলকাতা) অমিতাভ সিংহ বলেন, ‘‘সব রকম সতর্কতা নিয়ে ও বিধি মেনেই কর্মীরা যতটা সম্ভব গ্রাহকদের বাড়িতে যাচ্ছেন। ডাকঘরে ব্যাঙ্কের টাকা তোলার পাশাপাশি আগামী দিনেও এই সুবিধা চালু থাকবে।’’ ফলে উপকৃত হবেন অসুস্থ ও প্রবীণ গ্রাহকেরা।
নিয়ম অনুযায়ী, ডাকঘরে গিয়ে বা ঘরে বসে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে স্থানীয়, প্রধান বা ডিভিশনাল ডাকঘরে স্বশরীরে হাজির থেকে বা ফোন করে আর্জি জানাতে হয় গ্রাহককে। ডাক বিভাগের অ্যাপ বা ওয়েবসাইটেও আর্জি জানানো যায়। ডাককর্মী নির্দিষ্ট যন্ত্র নিয়ে বাড়ি এলে সেটিতে গ্রাহকের আঙুলের ছাপ নিয়ে তাঁর আধারের তথ্যের সঙ্গে তা যাচাই করা হয় এবং মোবাইলে আসা ওটিপির মাধ্যমে লেনদেন সম্পূর্ণ হয়।
ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের হিসেবে, সারা রাজ্যে দৈনিক গড়ে পাঁচ-আট হাজার এমন লেনদেন হচ্ছে। টাকার অঙ্কে লেনদেন গড়ে প্রায় ১-১.২ কোটি। কলকাতার ক্ষেত্রে লেনদেনের সংখ্যা দিনে প্রায় ৬০০টি। লকডাউনে ডাক-কর্মীর সংখ্যা কম থাকলেও, বহু মানুষ ঘরে বসে টাকা পেয়েছেন বলে তাদের দাবি। সিংহ জানান, এই পরিষেবার জন্য কিছু ব্যাঙ্ক তাঁদের গ্রাহকদের থেকে লেনদেন পিছু চার্জ নিলেও, ডাক বিভাগ নিচ্ছে না।