Nabanna

বিদ্যুতের জন্য জমি পেতে ক্ষতিপূরণের নীতি রাজ্যে

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, গ্রাহক বাড়াতে কিংবা নতুন এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছতে সংবহন পরিকাঠামো (৬৬ কেভি বা তার চেয়েও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন হাইটেনশন লাইন) সম্প্রসারণের প্রয়োজন হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২ ০৬:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবার প্রসারে সংবহন পরিকাঠামোর উন্নতি জরুরি। কিন্তু তা নির্মাণের প্রয়োজনীয় জমি এবং তার টানতে ব্যবহৃত জমির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দিষ্ট নীতির অভাবে সেই কাজ ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ উঠছে বহু দিন ধরে। তার সমাধানে ক্ষতিপূরণের নির্দিষ্ট নীতির (ট্রান্সমিশন করিডর নীতি) প্রস্তাবে মঙ্গলবার সায় দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। পাশাপাশি কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ আর্থিক সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রস্তাবিত প্রকল্পটিকেও ছাড়পত্র দিয়েছে তারা।

Advertisement

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, গ্রাহক বাড়াতে কিংবা নতুন এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছতে সংবহন পরিকাঠামো (৬৬ কেভি বা তার চেয়েও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন হাইটেনশন লাইন) সম্প্রসারণের প্রয়োজন হয়। এ জন্য রায়তি জমি নেওয়ার দরকার পড়ে।

এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, সংবহন পরিকাঠামোর খুঁটি ও তার যে জমির উপর দিয়ে যায়, সেগুলির ক্ষতিপূরণের নির্দিষ্ট নীতির অভাবে বহু জায়গায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন সংবহন সংস্থা এখন জমিদাতাকে ফসলের দাম ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেয়। রাজ্যে একটি সুসংহত সংবহন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য এ বার সেই ক্ষতিপূরণ নীতিই তৈরি হল।

Advertisement

বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, রাজ্যের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নির্দেশের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ফসলের দামের ক্ষতিপূরণ-সহ সংবহন খুঁটির চারটি পায়ার মধ্যের জমির জন্য জমি-মূল্যের ১৫০% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সংবহনের তার যে জমির উপর দিয়ে যাবে, তার ক্ষতিপূরণের জন্য ফসলের দাম-সহ দেওয়া হবে জমি-মূল্যের ১০% অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ। এই স্পষ্ট নীতির ফলে কাজ যেমন সহজে এগোবে, তেমনই সংবহন পরিকাঠামো তৈরিও হবে দ্রুত।

এ দিকে, কেন্দ্র-রাজ্য, বিশ্ব ব্যাঙ্ক-সহ নানা প্রকল্পের আওতায় আরও বেশি গ্রাহকের কাছে উন্নত মানের বিদ্যুৎ পৌঁছতে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পরিকাঠামো শক্তিশালী করার কাজ ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা এগিয়েছে। তাতে গতি আনতে বিভিন্ন পরিকাঠামোর উন্নতির লক্ষ্যে কেন্দ্রের ‘রিভ্যাম্প ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টর স্কিম’ (আরডিএসএস)-এর অধীনে বিদ্যুৎ দফতরের কাছে প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল বণ্টন সংস্থা। সূত্রের খবর, রাজ্য মন্ত্রিসভা তাতেও সায় দিয়েছে। এই প্রকল্পে কেন্দ্রের ৬০% ও রাজ্যের ৪০% অর্থ দেওয়ার কথা। চালু খোলা তারের বদলে উন্নত মানের তার (এবি কেব্‌ল) বসানো, নতুন সাব স্টেশন তৈরি, কিছু ক্ষেত্রে স্মার্ট মিটার চালু করার মতো নানা পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন হবে এর মাধ্যমে। সূত্রের দাবি, এবি কেব্‌ল সুরক্ষা বৃদ্ধির পাশাপাশি হুকিং রোধ করতেও সাহায্য করবে। বছর শেষের আগেই কেন্দ্রের অনুমোদন মিলবে, আশা সংশ্লিষ্ট মহলের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement