ছবি সংগৃহীত।
অতিমারির ধাক্কা সামাল দেওয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপকে সংস্কারের সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্র। সংস্কার করেছে কৃষি ও শ্রম আইন। কিন্তু সেই সংশোধিত আইন রূপায়ণ করতে গিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছে মোদী সরকার। বাধা আসছে কৃষক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে। এই প্রেক্ষিতে মূল্যায়ন সংস্থা ফিচের সতর্কবার্তা, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা ৬.৫ শতাংশের কাছাকাছি থাকলেও, সংস্কারের পথে এই সমস্ত বাধাই তাকে টেনে নামাতে পারে। বিপদ বাড়াতে পারে আর্থিক ক্ষেত্রের সমস্যাও।
বুধবারই আর এক মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিল জানিয়েছে, অতিমারির প্রভাবে কর সংগ্রহ কমার ফলে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলির মোট রাজকোষ ঘাটতি ছুঁতে পারে তাদের জিডিপির ৪.৭% (৮.৭ লক্ষ কোটি টাকা)। যা কার্যত ঐতিহাসিক। রিপোর্টে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, এই ঘাটতির ৭০% হতে পারে রাজস্ব আদায় কম হওয়ার ফলে। যা সচরাচর থাকে ১৫ শতাংশের কাছাকাছি। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, অর্থনীতিতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যের পরিস্থিতিও। সুরাহা দিতে পারে সেই সংস্কারের পদক্ষেপ। যেখানে বারবার ধাক্কা খাচ্ছে কেন্দ্র।