পীযূষ গয়াল, বাণিজ্যমন্ত্রী
ভারতে ব্যবসা করতে হলে ই-কমার্সে বিদেশি প্রত্যক্ষ লগ্নির বিধি অক্ষরে অক্ষরে মানতেই হবে, বৃহস্পতিবার ফের নেট বাজারগুলিকে এ কথা মনে করালেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। বললেন, বিধি অনুযায়ী অনলাইন বাজার শুধুই পণ্য বিক্রির জায়গা। কাজ ক্রেতা-বিক্রেতার যোগাযোগ ঘটানো, পণ্যের দাম ধার্য করা নয়। তাঁর বার্তা, আইন নেট বাজারগুলিকে এক ব্যবসা থেকে আর এক ব্যবসায় লেনদেনের অনুমতি দিয়েছে। ফলে তারা লুকিয়ে বহু ব্র্যান্ডের খুচরো বিক্রিতে পা রাখতে পারে না। বিপুল লোকসান গুনেও ভারতে কম দামে পণ্য বিক্রি করে অ্যামাজ়নের মতো ই-কমার্স এই সব আইনই ভাঙছে বলে অভিযোগ এ দেশের ছোট ব্যবসায়ীদের।
মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘ক্রেতা-বিক্রেতাকে ন্যায্য দাম মেটাতে উৎসাহ দেওয়া যে নেট বাজারের কাজ, তারা ৫০০০ কোটি টাকা ব্যবসা করে ৬০০০ কোটি লোকসান করতে পারে না। ফলে কারও সেটা হলে ভাল দেখায় না, ঠিক মনে হয় না এবং ধারণা হয় বিষয়টিতে কোথাও গোলমাল আছে। ওই লোকসান হলে সংস্থাগুলিকেই তা ভরতে হবে।’’ অ্যামাজ়নের লগ্নি নিয়ে তাঁর মন্তব্যে সম্প্রতি যে সমালোচনা দানা বেঁধেছিল, এ দিনের বার্তা তারই উত্তর বলে জানান গয়াল।
ছোট ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তুলছেন, অ্যামাজ়ন-সহ নেট বাজারগুলি সস্তায় পণ্য বেচে তাঁদের পথে বসাচ্ছে। এই অবস্থায় সম্প্রতি এ দেশে অ্যামাজ়নের লগ্নি প্রস্তাব নিয়ে গয়াল বলেন, আগামী পাঁচ বছরে ১০০ কোটি ডলার লগ্নির কথা বলে ভারতকে কৃতার্থ করছে না তারা। দাবি করেন, বিপুল ছাড় দিয়ে পণ্য বেচার বিপুল ক্ষতি পুষিয়ে দিতেই এই লগ্নির সিদ্ধান্ত। তবে এই মন্তব্য বিদেশি লগ্নিকারীদের কাছে ভুল বার্তা পাঠাবে বলে গয়ালকে তোপ দাগেন বিরোধীরা। দেশীয় শিল্পও এতে খুশি হয়নি।আজ গয়াল স্পষ্ট করেছেন, পুরনো অবস্থানেই অনড় তিনি। তাঁর কড়া বার্তা, ‘‘লক্ষ কোটি ডলারের সংস্থা দেশের এক-দু’কোটি টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসা করা ছোট খুচরো বিক্রেতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামলে, তা হয় অসম প্রতিযোগিতা। এই অন্যায়ে অনুমতি দিয়ে বহু মানুষের ক্ষতি করা যায় না। সরকারের কাজ ও দায়িত্ব এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ছোট ব্যবসায়ীর স্বার্থ রক্ষা করা।’’