কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
গুজরাত ভোটে ধাক্কা খেয়ে কেন্দ্র বাজেটে কৃষকদের দুরবস্থা দূর করার দাওয়াই দিতে চাইছে। কংগ্রেস ও বিরোধী দলশাসিত রাজ্যগুলির দাবি, কেন্দ্র এ বিষয়ে রাজ্যকেও সাহায্য করুক। রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার মতো প্রকল্পে কেন্দ্রের অবদান বাড়িয়ে ৯০% করা হোক। এখন তা ৬০%। বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা অরুণ জেটলির সঙ্গে প্রাক্-বাজেট বৈঠকে এই দাবি তোলেন।
ভোটের দিকে তাকিয়ে এ বার বাজেটে গ্রামের মন জয় করতে জেটলিকে বেশি খরচ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ জন্য রাজকোষ ঘাটতি জাতীয় আয়ের ৩.২ শতাংশের সীমা ছাড়িয়ে ছুঁতে পারে ৩.৫%। কংগ্রেসের দাবি, রাজ্যগুলিকেও ঘাটতির রাশ আলগা করতে দেওয়া উচিত। পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদল বলেন, ‘‘আমাদেরও ঘাটতির শৃঙ্খলা ভাঙতে দেওয়া হোক।’’
খরচ সামলাতে প্রথমে ৫০ হাজার কোটি টাকা বাড়তি ঋণের কথা বললেও অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০ হাজার কোটি নিলেই হবে। আজ জেটলির দাবি, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব গত বছরের থেকে ১৮% বেশি। কিন্তু কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি, আয়কর রিফান্ড আটকে থাকায় রাজস্ব বেশি দেখাচ্ছে। বাস্তবে বৃদ্ধি ১৩%। ফলে ঘাটতি বাগে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি অবশ্য এ দিনের বৈঠকে যোগ দেননি। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘আমরা তো বাজেটে ঘাটতিকে বেঁধে রাখছি। কিন্তু জনমোহিনী বাজেট তৈরি করে কেন্দ্রই শৃঙ্খলা ভাঙবে।’’