বাজারে আসছে একগুচ্ছ নতুন আইপিও। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আগামী সপ্তাহেই বাজারে আসতে চলেছে ১২টি ক্ষুদ্র এবং মাঝারি সংস্থার আইপিও (ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং), যার বাজারদর প্রায় ৪৩১ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে ২৫ সেপ্টেম্বর বিনিয়োগকারী জন্য খুলছে আরও পাঁচ সংস্থা।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিও সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। সংস্থাগুলি আইপিও এনে বাজার থেকে অর্থ তোলার পরিকল্পনা করে। অন্য দিকে লগ্নিকারীরাও চান একেবারে প্রাথমিক স্টক কিনতে। এই জন্যই আইপিও-র মাধ্যমে নতুন স্টকে বিনিয়োগ করার জন্য শেয়ার কারবারিরা অপেক্ষা করে থাকেন।
এই আইপিও-র ‘মরসুম’ শুরু হয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে। ১৮টি সংস্থার প্রায় চার হাজার কোটি টাকার আইপিও বাজারে আসছে। এই সংস্থাগুলির তালিকায় চারটি আইপিও রয়েছে ‘মোনবোর্ড সেগমেন্ট’ অর্থাৎ বৃহত্তর সংস্থার। বড় সংস্থার আইপিওগুলির মধ্যে রয়েছে জেএসডব্লিউ ইনফ্রা, আপডেটার সার্ভিসেস, মনোজ বৈভব জেম্স এন জুয়েলার্স। জেএসডব্লিউ ইনফ্রার প্রতিটি শেয়ারের দাম ১১৩ টাকা থেকে ১১৯ টাকা। আপডেটার সার্ভিসেসের প্রতিটি শেয়ারের দাম স্থির করা হয়েছে ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। অন্য দিকে মনোজ বৈভব জেম্স এন জুয়েলার্সের দাম ২০৪ থেকে ২১৫ টাকা, ভ্যালিয়্যান্ট ল্যাবের প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৩৩ টাকা থেকে ১৪০ টাকা। এই চার সংস্থাতেই কমবেশি ১৪ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। প্রসঙ্গত, মনোজ বৈভব জেম্স এন জুয়েলার্সের আইপিও কেনার শেষ দিন ২৬ সেপ্টেম্বর। বড় সংস্থাগুলির মধ্যে ১২৬০ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে জেএসডব্লিউ ইনফ্রা। আপাডেটার সার্ভিসেস আইপিও-র মাধ্যমে ৬৪০ কোটি টাকা তুলতে চায় বাজারর থেকে। ভ্যালিয়্যান্ট ল্যাব এবং মনোজ বৈভব জেম্স এন জুয়েলার্সের লক্ষ্য যথাক্রমে ১৫৩ কোটি এবং ২৭০ কোটি টাকা বাজার থেকে তোলার।
ক্ষুদ্র এবং মাঝারি সংস্থার মধ্যে তালিকায় রয়েছে অ্যারাবিয়ান পেট্রোলিয়াম, ডিজিকোর স্টুডিয়োস, সাক্ষী মেডটেক অ্যান্ড প্যানেলস, ইনস্পায়ার ফিল্মস, সুনিতা টুল্স ইত্যাদি।