ছবি: সংগৃহীত
স্থায়ী কর্মী-আধিকারিকদের বেতন মাঝে মধ্যেই পিছিয়ে যাচ্ছে। এখনও অক্টোবরের বেতন হয়নি। এরই মধ্যে সংস্থার পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পে জোর দিয়েছেন বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ। এ বার ভিআরএস নিতে ইচ্ছুক কর্মী-আধিকারিকেরা কোন আর্থিক প্রকল্পে টাকা রাখলে লাভবান হবেন, তা খুঁজে দিতে তৎপর হলেন কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সঙ্গেও কথা বলছেন তাঁরা। এই উদ্যোগকে অভিনব বলে মনে করছেন অনেকে। অনেকের আবার প্রশ্ন, সংস্থাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর সঙ্গে এই ধরনের তৎপরতার সম্পর্ক কোথায়?
৫০ বছর ও তার বেশি বয়সিদের জন্য গত ৪ নভেম্বর থেকে ভিআরএসের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএসএনএল। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা চালু থাকবে। সংস্থা সূত্রের খবর, শনিবার পর্যন্ত ৭৯,২০০-র কিছু বেশি কর্মী-আধিকারিক ওই প্রস্তাব দিয়েছেন। গোড়ায় তা আরও কিছুটা বেশি থাকলেও অনেকে প্রস্তাব প্রত্যাহারও করেছেন। কর্তৃপক্ষের আশা, শেষ পর্যন্ত ৭০-৮০ হাজার প্রস্তাব জমা পড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে সংস্থার কর্পোরেট ফান্ড ম্যানেজমেন্ট (সিএফএম) বিভাগের ডিজিএম আর এস পারমার সব সার্কলের শীর্ষ কর্তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাবসর নেওয়া কর্মী-আধিকারিকেরা কোন প্রকল্পে টাকা রাখতে পারেন তা নিয়ে দিল্লিতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, যাঁরা ভিআরএস নেবেন, তাঁরা ‘এক্সগ্রাশিয়া’ ও অন্যান্য খাতে ভাল অঙ্কের অর্থ পাবেন। তা ভাল প্রকল্পে লগ্নি করতে পারলে তাঁদের সুবিধা হবে। সিএফএম বিভাগ এ ব্যাপারে ওই কর্মীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে চায়। এ ব্যাপারে ঠিক সময়ে যথাযথ ভাবে জানানো হবে।
একই উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক স্তরেও আলোচনা শুরু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছেন। অবশ্য তাঁদের মতে, দিল্লিতে যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তার উপরে এর প্রভাব পড়তে পারে। জটিল হতে পারে গোটা প্রক্রিয়া। সে কারণে আঞ্চলিক স্তরে এই প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পারমার। তবে কোনও সংস্থার প্রস্তাব আকর্ষণীয় মনে হলে বিএসএনএলের সদর দফতরের সিএফএম বিভাগে জানানো যেতে পারে।
অন্য দিকে, কর্মীদের উপরে জোর খাটিয়ে স্বেচ্ছাবসর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে আজ, সোমবার অনশন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিএসএনএলের কর্মী-আধিকারিকদের কয়েকটি সংগঠন। কর্তৃপক্ষ অবশ্য জোর খাটানোর দাবি অস্বীকার করেছেন।