দূষণ কাণ্ডে গাড়ি ফেরানো জানুয়ারিতে

ভারতে পোলো বিক্রি বন্ধ করল ফোক্সভাগেন

ভারতে ছোট গাড়ি পোলো-র বিক্রি স্থগিত রাখছে ফোক্সভাগেন। গাড়িগুলিতে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছে জার্মান সংস্থাটি। ইতিমধ্যেই ডিলারদের কাছে বুক হয়ে যাওয়া পোলো ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সংস্থা। পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত যা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে তারা। তবে এই ত্রুটি দূষণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত নয় বলেই দাবি ফোক্সভাগেনের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও বার্লিন শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৫ ০২:২১
Share:

ভারতে ছোট গাড়ি পোলো-র বিক্রি স্থগিত রাখছে ফোক্সভাগেন। গাড়িগুলিতে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছে জার্মান সংস্থাটি। ইতিমধ্যেই ডিলারদের কাছে বুক হয়ে যাওয়া পোলো ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সংস্থা। পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত যা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে তারা। তবে এই ত্রুটি দূষণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত নয় বলেই দাবি ফোক্সভাগেনের।

Advertisement

এ দিন এক বিবৃতিতে সংস্থা জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে তৈরি করা পোলো গাড়িগুলিই পরীক্ষা করে দেখছে তারা। তবে সেগুলি কখন তৈরি, বা কী ধরনের সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেনি ফোক্সভাগেন।

প্রসঙ্গত, ভারতে ‘ইএ-১৮৯ ইঞ্জিন’ যুক্ত পোলো এবং সেডান ভেন্টো বিক্রি করে সংস্থা। এগুলি রফতানিও করা হয়। দূষণ কেলেঙ্কারির জেরে ভারতেও সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্র। ত্রুটি ধরা পড়লে গাড়ি ফেরানো হবে বলে জানিয়েছে ফোক্সভাগেন ইন্ডিয়া।

Advertisement

এ দিকে, জার্মানিতে আগামী জানুয়ারি থেকেই দূষণ মাত্রা কমিয়ে দেখাতে বিশেষ সফটওয়্যার বসানো গাড়িগুলিকে ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করবে ফোক্সভাগেন। বিনামূল্যে সেগুলি সারিয়ে দেওয়া হবে বলে এ দিন দাবি করেছে সংস্থা। সেই কাজ শেষ হতে ২০১৬-র শেষ হয়ে যাবে বলেই জানান ফোক্সভাগেনের নবনিযুক্ত সিইও ম্যাথিয়াস মুলার। তিনি বলেন, সংস্থা ইতিমধ্যে গাড়ি ফিরিয়ে নিতে জার্মান নিয়ন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব পেশ করেছে, যা গৃহীত হলে জানুয়ারি থেকেই গাড়িগুলি ফিরিয়ে, তা সারিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করতে চান তাঁরা। বেশির ভাগ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রেই সামান্য যান্ত্রিক পরিবর্তন করতে হবে বলে দাবি মুলারের।

তবে এই কেলেঙ্কারির জেরে ইস্তফা দেওয়া সিইও মার্টিন উইন্টারকর্ন এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে মানতে নারাজ মুলার। তাঁর দাবি, পরিচালন পর্ষদের এক জন ডিরেক্টরের পক্ষে ইঞ্জিনের সফটওয়্যারের খুঁটিনাটি জানা সম্ভব নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement