প্রতীকী ছবি।
গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সেখানে বিপুল টাকা ঢালতে হচ্ছে টেলিকম সংস্থাগুলিকে। এই অবস্থায় তাদের বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত ব্যবধানে মাসুল বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করল ভোডাফোন আইডিয়া (ভি)। এর আগে মাসুল বৃদ্ধির দাবি করেছে এয়ারটেল-ও। ভি-এর মতে, ভারতে গ্রাহক পিছু আয় এখনও অনেক কম, যা দিয়ে দীর্ঘ দিন ব্যবসা চালানো মুশকিল। বর্তমান বাজারে তা বৃদ্ধির সুযোগও রয়েছে। তাই রিটার্ন পেতে এবং ভবিষ্যতের লগ্নির জন্যই মাসুল বাড়ানো দরকার। এর পরেই সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, সংস্থাগুলি সত্যি সেই পথে হাঁটলে করোনায় ধাক্কা খাওয়া সাধারণ মানুষের হাল আরও খারাপ হতে পারে। বিশেষত মোবাইল বা ব্রডব্যান্ড ছাড়া যখন গতি নেই।
পাঁচ-ছ’বছর আগে রিলায়্যান্স জিয়ো বাজারে আসার পরে যে মাসুল যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তাতে ধাক্কা খেয়েছে প্রায় সব পুরনো টেলি সংস্থাই। বিশেষত হাল খারাপ হয়েছে ভি-র। শেষ পর্যন্ত গত বছরে কেন্দ্রের আনা ত্রাণ প্রকল্পের হাত ধরে কিছুটা হাঁফ ছেড়েছে এই শিল্প। গত দু’আড়াই বছরে বেশ ক’বার মাসুলও বাড়িয়েছে জিয়ো, ভি, এয়ারটেল। যার হাত ধরে বেড়েছে তাদের গ্রাহক পিছু আয়।
বার্ষিক রিপোর্টে ভি-র দাবি, বিশ্বে এখনও ভারতের টেলি মাসুল সব চেয়ে কম। যদিও যথেচ্ছ ডেটার প্যাকেজের সুযোগে বেড়েছে গ্রাহক পিছু নেটের ব্যবহার। গত ক’মাসে ভি-এর গ্রাহক সংখ্যা কমার হার নেমেছে। বেড়েছে উন্নত হয়েছে পরিষেবাও। তা সত্ত্বেও তারা মনে করে টেলি শিল্পে নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে মাসুল বৃদ্ধি করা জরুরি। যাতে লগ্নি থেকে রিটার্ন ঘরে আসে এবং নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করা সহজ হয় সংস্থাগুলির পক্ষে।