—প্রতীকী চিত্র।
কাজের সূচি (রস্টার) ও নতুন চুক্তি ঘিরে আপত্তির জেরে সেই চুক্তিতে সম্মত হননি টাটা গোষ্ঠী এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স পরিচালিত উড়ান সংস্থা বিস্তারার বিমানচালকদের একাংশ। তার ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে সংস্থাটির পরিষেবা ক্রমাগত ব্যাহত হচ্ছে। একের পর এক উড়ান বাতিল হওয়ায় হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ-কে। এই অবস্থায় বিস্তারার সিইও বিনোদ কান্নন জানালেন, এখনকার রোস্টারিং ব্যবস্থা নিয়ে পাইলটদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। তাঁদের মতকে যতটা সম্ভব স্থান দেওয়ার চেষ্টা করবেন সূচিতে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, বিস্তারা এখন টাটা গোষ্ঠীর অপর উড়ান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এই অবস্থায় পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়া অস্বস্তিকর। যদিও সংস্থার দাবি, মে-র মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। আরও বিমানচালক নিয়োগ করছে তারা। এখন সেই সংখ্যা প্রায় হাজার।
এক সাক্ষাৎকারে কান্নন বলেন, বিমানচালকদের এক এক জনের জীবনযাপন এক এক রকম। কেউ এক লপ্তে দীর্ঘক্ষণ কাজের মধ্যে থাকতে চান। যাত্রাপথে বড় বিরতি চান না। কেউ আবার উল্টো। ফলে বিভিন্ন ধরনের রোস্টার করা সম্ভব নয়। তবে অধিকাংশ বিমানচালক কী চাইছেন সেটা বুঝে সেখানে সংশোধন করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে সংস্থার প্রতিনিধিরা কথা বলবেন। কান্ননের আরও বক্তব্য, নতুন চুক্তি নিয়ে পাইলটদের একাংশের মধ্যে উদ্বেগ ও জিজ্ঞাসা রয়েছে। সেই সমস্যাও মেটানোর চেষ্টা চলছে।