পেটিএমের বোর্ড থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বিজয়শেখর শর্মা। —ফাইল চিত্র।
টানাপড়েনের মাঝেই পেটিএমের নন একজিকিউটিভ চেয়ারম্যান এবং বোর্ড সদস্যের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বিজয়শেখর শর্মা। সোমবার এ কথা জানাল পেটিএম। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নিষেধাজ্ঞার পর ঢেলে সাজানো হচ্ছে সংস্থার বোর্ড। সে কারণেই সরে দাঁড়াচ্ছেন বিজয়।
পেটিএমের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসন শ্রীধর, ব্যাঙ্ক অফ বরোদার প্রাক্তন এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অশোককুমার গর্গ এবং দু’জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা যোগ দেবেন সংস্থার বোর্ডে। পেটিএম পেমেন্ট ব্যাঙ্কের সিইও সুরিন্দর চাওলা জানিয়েছেন, বোর্ডের নতুন সদস্যেরা সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ দেখাবে। কার্যকারিতা এবং পরিষেবার মানের উন্নয়ন করবে। প্রশাসনিক সংস্কারও করা হবে। পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের ৫১ শতাংশ স্টেকের মালিক বিজয়। বাকিটা রয়েছে ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশনস (পেটিএমের সরকারি নাম)-এর অধীনে।
পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছিল, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিতে পারবে না পেটিএম। তবে সেই সময়সীমা ১৫ দিনের জন্য বৃদ্ধি করেছে আরবিআই। গ্রাহকরা ১৫ মার্চ পর্যন্ত পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেট বা ফাসট্যাগে টাকা জমা দিতে বা ক্রেডিটে লেনদেন চালিয়ে যেতে পারবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে আরবিআই। জানিয়েছে, পেটিএম ব্যাঙ্কে জমা টাকা আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তুলে নেওয়া যাবে। গ্রাহকরা যাতে পেটিএমের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে নির্বিঘ্নে টাকা তুলতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছে আরবিআই।
পাশাপাশি, কোনও গ্রাহকের বেতন যদি পেটিএম ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে জমা হয়, তা হলে ১৫ মার্চের আগে বিকল্প খুঁজে নিতে পরামর্শ দিয়েছে আরবিআই। ১৫ মার্চের আগে বিকল্প খুঁজে না নিলে অসুবিধায় পড়তে পারেন গ্রাহকেরা। ১৫ মার্চের পর নতুন করে আমানত গ্রহণ করতে পারবে না পেটিএমের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। দিতে পারবে না প্রিপেড, ওয়ালেট, ফাসট্যাগ-সহ বিভিন্ন পরিষেবা। তবে সুদ বা রিফান্ড যে কোনও সময় জমা হতে পারে।