—প্রতীকী চিত্র।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) বকেয়ায় জরিমানা কমানোর প্রতিবাদে সরব হল বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে তাদের একাংশ। এমনকি কেন্দ্রের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়েছে সিটু। ফের তোলা হয়েছে পিএফে ন্যূনতম পেনশন বাড়ানোর দাবি।
গত সপ্তাহে পিএফের বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োগকারীর দেয় বকেয়া টাকার উপর জরিমানার হার কমিয়েছে কেন্দ্র। এর আওতায় রয়েছে কর্মীদের পিএফ, পেনশন এবং বিমা খাতে নিয়োগকারীর দেয় টাকা। টাকা বাকি রাখার মেয়াদের উপরে ভিত্তি করে আগে জরিমানার হার ছিল মাসে বকেয়ার ৫%-২৫%। সম্প্রতি পিএফ আইন সংশোধন করে তা মাসে ১ শতাংশে নামানো হয়েছে।
ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, এর ফলে পিএফের টাকা বাকি রাখার প্রবণতা বাড়তে পারে। বিশেষত যারা ইচ্ছা করে বকেয়া রাখে, তারা সুবিধা পাবে। এতে পিএফের সদস্যদের স্বার্থ হানি হতে পারে বলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে ইউনিয়নগুলি। বিবৃতিতে সিটু বলেছে, কেন্দ্রে তৃতীয় বার সরকার গঠনের শপথ নিয়েই এনডিএ সরকার মালিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ করতে সময় নষ্ট করেনি। তাদের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুণ্ণ হবে শ্রমিক স্বার্থ।
সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন বলেন, ‘‘পিএফের বকেয়া টাকা আদায় করা এমনিতেই বড় সমস্যা। তার উপরে জরিমানা কমায় বিশেষত এক শ্রেণির অসাধু নিয়োগকারীর মধ্যে পিএফের টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে গফিলতি বাড়বে। এতে শুধু পিএফ সদস্যদেরই নয়, পিএফ সংস্থারও ক্ষতি হবে। তাই কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি অবিলম্বে তোলার দাবি করেছি। পাশাপাশি, এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার ডাকও দেওয়া হয়েছে।’’
বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে অপর শ্রমিক সংগঠন ইউটিইউসি। তারা জরিমানার হার কমানোর প্রতিবাদের পাশাপাশি পিএফের ন্যূনতম পেনশনের অঙ্ক বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, ‘‘বেশ কিছু সংস্থা নিয়মিত পিএফের টাকা বকেয়া রাখে। কেন্দ্রের পদক্ষেপ তাদের টাকা বকেয়া রাখতে আরও উৎসাহিত করবে। তাই এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি করে শ্রমমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।’’ অশোকবাবুর আরও অভিযোগ, নতুন সরকার গঠনের পরে চটজলদি মালিকদের সুবিধা দেখা হল। অথচ পিএফে ন্যূনতম পেনশন বৃদ্ধির জন্য ইউনিয়নগুলি দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানাচ্ছে, সে দিকে কেন্দ্রের ভ্রূক্ষেপ নেই। অবিলম্বে ন্যূনতম পেনশন বাড়ানোর জন্য ফের শ্রমমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।