প্রতীকী ছবি।
গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, পরবর্তী নির্বাচনের আগে বাণিজ্য নিয়ে চুক্তি করতে তিনি আগ্রহী নন। নিজেদের নরম মনোভাব দেখাতে, ১ অক্টোবর থেকে বেশ কিছু চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তও তিনি সম্প্রতি দু’সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছেন। অথচ রবিবার হোয়াইট হাউসের অন্যতম উপদেষ্টা মাইকেল পিল্সবারির দাবি, শুল্ক-যুদ্ধে দাঁড়ি টেনে, সন্ধি প্রস্তাবের লক্ষ্যে দ্রুত সহমতে পৌঁছানো না-গেলে চিনের উপরে ফের চাপ সৃষ্টি করতে পারে আমেরিকা। হাতিয়ার হতে পারে শুল্ক আরও বাড়ানো।
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে যখন অক্টোবরেই চিন-আমেরিকার শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে আলোচনার বসার কথা, তখন পিল্সবেরির এই বক্তব্য কার্যত ওয়াশিংটনের প্রচ্ছন্ন হুমকি বলে মনে করছেন অনেকে। যা নতুন করে আশঙ্কা জাগাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
পিল্সবারির মতে, প্রয়োজন হলে শুল্ক ৫০ বা ১০০ শতাংশের ঘরেও যেতে পারে। প্রেসি়ডেন্টের কাছে শুল্ক যুদ্ধ বাড়ানোর সুযোগও যে রয়েছে সে বিষয়টিও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন, চিনের সঙ্গে আমেরিকার দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যকে পঙ্গু করে দেওয়ার কথা ওয়াশিংটন ভাবছেন না। বরং ঘাটতি কমিয়ে বাণিজ্য আরও বাড়াতে চাইছেন বলেই তিনি জানান।
শুল্ক নিয়ে যুযুধান দুই দেশের মধ্যে মাঝে কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরস্পরকে জবাব দিতে অস্ত্র হয়ে উঠেছিল শুল্ক। সম্প্রতি ফের বেজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে। কিন্তু তার মধ্যেও ওয়াশিংটন নানা সময়ে এক একরকম বার্তা দিয়ে
চলেছে। ফলে সম্পূর্ণ চিন্তামুক্ত হতে পারছে না বিভিন্ন মহল। সমস্যা পুরোপুরি না-মেটা পর্যন্ত সংস্থাগুলিও নতুন করে লগ্নির সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এর আগে ১২ দফা আলোচনায় বসেও সন্ধিতে পৌঁছাতে পারেনি দুই দেশ। ফলে আগামী দিনে অবস্থা কী দাঁড়ায়, সে দিকেই নজর রাখছে তারা।