প্রতীকী ছবি।
মার্কিন কৃষিপণ্যের উপর থেকে সব ধরনের আমদানি শুল্ক তুলে নিতে চিনের কাছে আর্জি জানাল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। শনিবার টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বাণিজ্য নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা ‘ভাল’ এগোচ্ছে। তাই এই আবেদন। তবে এ দিনই মার্কিন কৃষিপণ্য নিয়ে ব্রিটেনকে একহাত নিয়েছে আমেরিকা।
গত ১ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনায় বৈঠকে ট্রাম্প ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং বাণিজ্য-আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ট্রাম্প জানান, ১ মার্চ পর্যন্ত শুল্ক বাড়াবেন না তাঁরা। সেই অনুসারে শুক্রবার থেকে তা বাড়ার কথা ছিল। কিন্তু গত মাসে শুল্ক পিছনোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আজ ট্রাম্প বলেন, কথা ভাল চলছে। তাই চিনেরও উচিত অবিলম্বে মার্কিন কৃষিপণ্যে শুল্ক তুলে নেওয়া। ট্রাম্পের আরও দাবি, মার্কিন কৃষক এবং তাঁর নিজের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, শুল্ক যুদ্ধে আমেরিকার বিভিন্ন খাদ্যশস্যে শুল্ক বসিয়েছে চিন। ফলে ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। যাঁদের একটা বড় অংশ ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক। অনেকের মতে, চাষিরা যে তাঁর উপরে ক্ষুব্ধ হতে পারেন, তা বুঝতে পারছেন ট্রাম্প। তাই প্রথমেই কৃষিপণ্যে শুল্ক তুলতে চিনকে এই আর্জি। আপাতত মাসুল না বাড়ানোর মার্কিন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে চিন। তবে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কোনও কথা বলেনি তারা।
এ দিকে ব্রেক্সিটের পরে বাণিজ্য নিয়ে মার্কিন মুলুকের সঙ্গে আলাদা চুক্তি করতে হবে ব্রিটেনকে। সে দেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত উডি জনসন বলেন, আমেরিকার কৃষিপণ্য নিম্নমানের বলে ভুল বোঝানো হয়েছে। অপপ্রচার বন্ধ হওয়া উচিত। যদিও বাণিজ্য চুক্তির জন্য পণ্যের মানে আপস করা হবে না বলে জানিয়েছে টেরেসা মে-র সরকার। সতর্ক করেছে চাষিদের সংগঠনও।