Bank Privatization

বেসরকারিকরণ নিয়ে আশঙ্কা ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলির

ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চ ইউএফবিইউ-র আহ্বায়ক সুদীপ দত্তের বার্তা, ‘‘কেন্দ্রে যে সরকারই আসুক, তারা ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণে উদ্যোগী হলে ধর্মঘট-সহ যে কোনও আন্দোলনে যেতে প্রস্তুত।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৪ ০৭:১০
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভোট পর্ব মিটতে বেশি দেরি নেই। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী ইউনিয়নগুলি। দাবি করল, ২০২১-২২ সালের বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং একটি সাধারণ বিমা সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি বিরোধী দল এবং কর্মী সংগঠনগুলির বিরোধিতায়। তবে প্রস্তাব ধামাচাপা পড়লেও, বাতিল হয়নি। ফলে বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে বিষয়টি নিয়ে নতুন উদ্যমে এগোতে পারে। ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, ভোটের ফল কী হবে জানা নেই। তবে তাঁরা আগাম তৈরি থাকতে আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

Advertisement

ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চ ইউএফবিইউ-র আহ্বায়ক সুদীপ দত্তের বার্তা, ‘‘কেন্দ্রে যে সরকারই আসুক, তারা ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণে উদ্যোগী হলে ধর্মঘট-সহ যে কোনও আন্দোলনে যেতে প্রস্তুত।’’ ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগরের বক্তব্য, ‘‘নির্মলা বাজেটে এ-ও বলেছিলেন, প্রতিটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ৪টির বেশি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রাখা হবে না। ব্যাঙ্ক শিল্প এমনই ক্ষেত্র। নতুন সরকার ওই নীতি বহাল রাখলে কর্মী এবং গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় সমস্ত সংগঠন একজোট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’’ একই আশঙ্কা ব্যাঙ্ক অফিসারদের সংগঠন আইবকের রাজ্য সম্পাদক শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়েরও। তিনি জানান, “ইতিমধ্যেই বর্ধমানের কালনায় ব্যাঙ্ক বিক্রির বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছি।’’

ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সধারণ সম্পাদক দেবাশিস বসু চৌধুরীর অভিযোগ, বিপুল খরচে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আর্থিক স্বাস্থ্য ফিরিয়ে সেগুলিকে আসলে বিক্রির উপযোগী করেছে কেন্দ্র। ন্যাশনালাইজ়ড ব্যাঙ্ক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাসের দাবি, ‘‘সংযুক্তি মারফত তা ২৭ থেকে ১২টিতে নেমেছে। আর কমতে দেব না।’’ ব্যাঙ্ক বিক্রির বিরুদ্ধে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘও। তাদের অনুমোদিত ন্যাশনাল অর্গানাইজ়েশন অব ব্যাঙ্ক ওয়ার্কার্সের কর্তা মনমোহন দাস বলেন, “এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ২০২১-এর ১৭ ডিসেম্বর দিল্লির যম্তরমন্তরে ধর্না দিয়েছিলাম আমরা। তার পরে এই বিল আর সংসদে পেশ হয়নি। সরকারের তরফে আবার সেই চেষ্টা হলে মেনে নেব না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement