কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। —ফাইল চিত্র।
উদ্ভাবনী ভাবনায় চমক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর! যেখানে ১০০ টাকার উপরে চড়ে থাকা পেট্রল ১৫ টাকায় নামার স্বপ্ন দেখালেন তিনি।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতা-সহ দেশের তিনটি মেট্রো শহরের বহু জায়গায় লিটার পিছু পেট্রলের দাম ১০০ টাকার উপরে। তবে নিতিনের দাবি, তা নামতে পারে মাত্র ১৫ টাকায়! এ জন্য হাতিয়ার হিসেবে গাড়ির ইথানল এবং বৈদ্যুতিক জ্বালানিকে তুলে ধরেছেন তিনি।
এর মধ্যে নিতিন দাবি করেছিলেন, শীঘ্রই টয়োটার একটি গাড়ি বাজার আসবে যেটি ১০০% ইথানলে চলবে এবং সেই সঙ্গে ৪০% বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপাদন করবে। বুধবার রাজস্থানের প্রতাপগড়ে এক সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের সরকারের পরিকল্পনা হল, কৃষকেরা শুধু অন্নদাতা হবেন না, উর্জাদাতাও (শক্তি উৎপাদনকারী) হবেন। তাঁরাই ইথানল তৈরি করবেন।’’ সেই সূত্রেই তাঁর দাবি, ৬০% ইথানল এবং ৪০% বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনের হিসাবে পেট্রলের দাম নেমে আসবে লিটার পিছু ১৫ টাকায়। কারণ ইথানলের দাম লিটার পিছু ৬০ টাকা। কিন্তু পেট্রলের ১২০ টাকা। আর যেহেতু ইথানল থেকে বিদ্যুৎ শক্তিও তৈরি হবে, তাই লিটারে পেট্রলের দাম পড়বে গড়ে ১৫ টাকা। বিভিন্ন কৃষি পণ্য থেকে তৈরি হয় ইথানল। ইথানল ব্যবহার শুধু যে দূষণ কমাবে তাই নয়, তাতে বিপুল আমদানি খরচও (১৬ লক্ষ কোটি টাকা) কমবে। সেই অর্থে কৃষক পরিবারকে সাহায্য করা যাবে।
দূষণ ও তেলের আমদানি খরচ কমাতে পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মিশ্রিত জ্বালানি কিংবা বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সওয়াল করে চলেছেন নিতিন। বস্তুত, কেন্দ্রের দাবি, দেশের বেশিরভাগ প্রান্তেই এখন ৯০ ভাগ পেট্রলের সঙ্গে ১০ ভাগ ইথানল মেশানোর প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পরের ধাপে তাদের লক্ষ্য ইথালের অংশীদারি বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা। যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের পাল্টা দাবি, ১০ শতাংশ ইথানল এখনও দেশের বহু জায়গায় চালু করা যায়নি। তবে প্রক্রিয়া চলছে।