বিদ্যুৎপরিষেবার ক্ষেত্রে আগাম মাসুল মেটানো ‘স্মার্ট প্রিপেড মিটার’ ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিংহ। ফাইল ছবি।
মোবাইলের ‘প্রিপেড’ পরিষেবার মতো বিদ্যুৎ পরিষেবার ক্ষেত্রেও আগাম মাসুল মেটানো ‘স্মার্ট প্রিপেড মিটার’ ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিংহ। তাঁর দাবি, এতে বিদ্যুতের খরচ কমায় গ্রাহকের মাসুলের বিলও দুই-আড়াই শতাংশ কমতে পারে। এই মিটারের ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ বিলেও (সংশোধিত)।
দেশের কিছু জায়গায় স্মার্ট মিটার চালু হয়েছে। তবে আগাম টাকা মেটানো নিয়ে গ্রাহক-সহ সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের আপত্তির কারণে বেশিরভাগ জায়গাতেই এই ব্যবস্থা কার্যকর হয়নি। গ্রাহক কেন্দ্রিক স্মার্ট মিটার ব্যবস্থায় রূপান্তর শীর্ষক এক রিপোর্ট প্রকাশ করে মন্ত্রীর দাবি, ‘‘এটির ব্যবহারে বিদ্যুতের খরচ দুই থেকে আড়াই শতাংশ কমায় লাভবান হন গ্রাহক।’’ সরকারি মহলের বক্তব্য, গ্রাহক আগাম টাকা দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার খরচও কমে। কেন্দ্রের দাবি, স্মার্ট মিটারে গোটা ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি সহজ হয়। দক্ষতা বাড়ে। নির্ঝঞ্ঝাটে বিদ্যুৎ ব্যবহারের হিসাব কষা যায়। কোথায় নজর দেওয়া জরুরি, তা-ও বোঝা সম্ভব। সিংহের দাবি, এই হিসাব কষা কঠিন। যা এখনও বইতে হচ্ছে।
ছ’টি রাজ্যে ১৮টি জেলার ৪৫০০ জনের বেশি গ্রাহককে নিয়ে সমীক্ষা হয়েছিল। রিপোর্ট বলছে, পুরনো মিটারের থেকে স্মার্ট মিটারের অভিজ্ঞতা ভাল। ৯২% জানান, মিটার বসানোর কাজ মসৃণ ভাবে হয়েছে। বিদ্যুতের বিলে উন্নতির দাবি করেন ৫০%। ৬৩% বলেন, অন্যদের ব্যবহার করতে বলবেন। ৪৪ শতাংশের মতে পূর্ণাঙ্গ বিল মেলেনি।