—প্রতীকী চিত্র।
অন্য রাজ্যের তুলনায় বিদেশি লগ্নি অনেক কম আসছে পশ্চিমবঙ্গে। বিনিয়োগ কম হলে রাজ্যে নতুন চাকরি তৈরি হবে কী করে, তা নিয়ে আজ লোকসভায় প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া।
আজ দেশের বেকারত্ব সমস্যা নিয়ে লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যভিত্তিক পরিসংখ্যানে (২০২২-২৩) পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার ২.২%। অথচ শিক্ষিত রাজ্য হিসাবে পরিচিত কেরলে তা ৭%। রাজস্থানে ৪%। এই আবহে বেসরকারি ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের চাকরি কী ভাবে কেন্দ্র সুরক্ষিত করবে? এটাও জানতে চান, বেসরকারি সংস্থাগুলি যাতে ইচ্ছেমতো কর্মী ছাঁটাই করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে কী পদক্ষেপ করছে সরকার? জবাবে মনসুখ বলেন, ‘‘সংস্থার কখনওই কর্মীদের ছাঁটাই করা উচিত নয়। কিন্তু কেউ ভাল চাকরি পেলে কিংবা কোনও ইউনিট বন্ধ হয়ে গেলে কর্মীকে অন্য জায়গায় কাজের জন্যে যেতেই হয়।’’ এর পরেই পশ্চিমবঙ্গের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মনসুখের কটাক্ষ, ‘‘দেশের জনসংখ্যার ৭% পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু বিদেশি লগ্নি এসেছে ০.৭৫%। যা বাড়ানো প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গ এ দেশের অংশ। আমি এর বেশি কিছু বলব না। যখন কোনও রাজ্যে শিল্প আসে, তখন (নতুন) চাকরির সুযোগ তৈরি হয়। আপনারা আন্দোলনও করবেন, যার জন্য শিল্প সংস্থা বন্ধও হয়ে যাবে। কর্মীরা কাজ হারাবেন, আর বলবেন, কর্মীদের চাকরির অধিকার দিতে হবে। এটা চলতে পারে না।’’
প্রশ্নোত্তর পর্বে কল্যাণ দাবি করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-র কারণে এই সরকারের আমলে ৬৯% চাকরি হারাবেন। এই সমস্যার সমাধানে সরকার কী ভাবছে, সেই প্রশ্নের উত্তরে মনসুখ বলেন, ‘‘পরিসংখ্যানটি অনুমানভিত্তিক। ২০১৬-এ বিশ্ব ব্যাঙ্কের একটি দল বলেছিল, আগামী ১০ বছরে ভারতে ৬৯%, চিনে ৭৭%, মিশরে ৮৫% মানুষ কাজ হারাবেন। কিন্তু ১০ বছর পরে সেই অনুমান ও বাস্তবের মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। দেশে প্রথম ইন্টারনেট আসার সময়েও চাকরি যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। নতুন চাকরি তৈরি হয়েছে। দেশে কম্পিউটার বা মোবাইল যখন আসে, তখনও এমন আশঙ্কা করা হয়। কিন্তু চাকরি কমেনি।’’