২৫% অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর প্রস্তাব করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। —ফাইল চিত্র।
ইস্পাত আমদানিতে ২৫% অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর প্রস্তাব করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। দেশীয় ইস্পাত সংস্থাগুলিকে নিরাপত্তা দেওয়াই উদ্দেশ্য। ফলে তারা খুশি। তবে প্রমাদ গুনছে ইস্পাতজাত পণ্য সংস্থা। কারণ, প্রস্তাব কার্যকর হলে উৎপাদন খরচ বাড়বে। সমস্যা হবে রফতানি বাজারে।
গত সোমবার ইস্পাতমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পরে ইস্পাতের উৎপাদন শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। ইস্পাত সংস্থাগুলির বক্তব্য, চিন ও ভিয়েতনামে পণ্যটির উৎপাদন খরচ কম। ফলে সেখানকার সংস্থাগুলি ভারতে বাজার বাড়াচ্ছে। সে কারণেই দরকার নিরাপত্তা।
তবে ইস্পাতজাত পণ্য উৎপাদন সংস্থাগুলি চাপে। বিশেষত ছোট সংস্থা। রফতানি সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়োর ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সহায় বলেন, ‘‘ইস্পাতে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক বসালে দেশীয় উৎপাদন সংস্থাগুলিও যাতে দাম না বাড়ায় তা নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রকে।’’ হ্যান্ডটুল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এস সি রলহন বলেন, ‘‘যে সমস্ত ছোট সংস্থা ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি করে তারা সবচেয়ে সমস্যায় পড়বে।’’ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বাণিজ্য উপদেষ্টা সংস্থা জিটিআরআই। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘দেশে পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ইস্পাতের মাত্র ৬% আমদানি হয়। একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে, এ দেশে বিপুল পরিমাণে সস্তার ইস্পাত আমদানি করা হয়। পরিসংখ্যান কিন্তু তা বলছে না।’’